তব - নব রূপ দেখে হয়েছে হে বনিতা
সকলে মুগ্ধ,
আজ মম হৃদয় দহনে দগ্ধ।
তৃষিত অন্তর অমৃতর লালসে
করে কেবল খাঁ - খাঁ,
নয়নের বাঁধ ভেঙেছে আজ,
একদিন ছিলাম তব সখা।
ধুল মাখা অবয়বে, মার্তণ্ডের বহ্নিশিখা
কলরবে, পান্থ হয়ে -হয়েছি একা,
তামসীতে তরুর নিচে নব নুড়ি
পাথরের আবাস গড়ছি, ভাঙছি,
হে মানবী!
আজও আছি তোমার সখা।
দেখে ছিলুম প্রথম যেদিন তোমারে,
বসন্তের সঙ্গীত লহরে,
নিধুবনে সখী হয়ে নৃত্য করছিলে
মোর্ অপেক্ষায়,
পরভৃত হয়ে কুহূ কুহূ শুরে ডাকছিলে
কেবল আমায়।
সীমন্তনী, সে'দিন ছিল তোমার দুহিতার বেশ,
কুঞ্জ মাঝে অটবির ডালে বসে, সখী
সেজে, দক্ষিণা
সমীরে ভাসিয়েছিলে এলো কেশ।
হে সীমন্তনী, তব এলো কেশ আজ
খোপায় কেন বাঁধা?
কোন্ কেশবের হয়েছো রাধা?
কানে দিয়েছো দুল,
গলায় পরেছো কাঞ্চন মালা রূপে তাুমি অতুল।
সর্ব গাত্রে জড়িয়েছো লোহিতো বেনারসি,
তোমাকে ঘিরে বাজচ্ছে কেন মাদল - কাশী?
গোধূলিতে নির্জনে নিরবে তব উদাসী
আঁখিতে আজ রেখেছি আঁখি,
তুমি তো ছিলে মোর সখী,
তবে মোর্ থেকে সরিয়ে নিলে কেন আজ আঁখি?
উজ্জ্বল সরদার
- দাকোপ খুলনা
------/_____---------