অনাদরে মুছে যায় চোখের কাজল
    ✍️-উজ্জ্বল সরদার আর্য

    ভালোবেসে-বিশ্বাসে-আদরে-যত্নে কুঁড়ি একদিন
    ফুল হয়ে ফুটে উঠলো নব যৌবনায়।
  
    এখন সৌন্দর্যময় হলো বাগিচা, সুগন্ধ মেশানো
    বাতাসে প্রাণী কুলের বুকে উঠলো ঢেউ।

     দল বেঁধে ছুটে এলো মধুকর,
     নাভিকূপে শুঁড় ডুবিয়ে খুঁজে নিয়েছে অমৃত।

      অনুভবে-স্পর্শে বুকে ঢেউ ওঠা কম্পনে
      উন্মত্ত এখন সে কামিনী।
    
      অকৃতজ্ঞ-অহংকারে আর অতীত চেনে না।

      পিছু সময়ে গড়িয়ে চলা সম্পর্কে অনিশ্চিত হয়ে
      ওঠে যখন বন্ধুত্ব,
      তখন নিশ্চিত হয়ে জীবন খোঁজে মুক্তি।

      উপস্থিতি যখন হয়ে ওঠে অসহ্য যন্ত্রণার,
      রাতের নক্ষত্র ও মুখ ঢাকে মেঘের আড়ালে।

      বয়ে চলা সময় সাগর-ও শুকিয়ে যায়,
      ঢলে পড়ে পশ্চিমে ক্লান্ত রবি।

      গোলাপী ঠোঁট ফেটে-ও রক্ত ঝরে,
      অনাদরে মুছে যায় চোখের কাজল।

      অনন্ত যৌবনা কেউ হয় না, লাল টিপও ফেকাসে
      হয়ে যায়, চন্দনে চাঁদ আঁকা হয় কোপালে।

      শুষ্ক-কুঁচকানো-কম্পন দেহ ধুলা মাখে দিনভর,
      ধূসর মেঘে ঢাকা চোখ খোঁজে নিশ্চুপ রাত্রির
      চেনা নক্ষত্র।

     দণ্ড যখন নিশ্চিত হয়, রুক্ষ ভূমিগর্ভ ফেটে
     জন্ম নেয় অনুতপ্ত।

     তবুও হাতছানি দেয় পথ নির্দেশনকারী
     ওই দূরের ধ্রুবতারা, সমুদ্রে ভেসে চলা পথভ্রষ্ট    
      নাবিকের।

      অদূরে গন্তব্য তাও হয়না পৌঁছানো,
      কারণ তাকে যে সে হারিয়ে ফেলেছে।

রচনাকাল ২৫ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার।
দাকোপ খুলনা বাংলাদেশ।