নাস্তিক্য
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
নব যাত্রার যাত্রী আমি ছুটছি সত্যের সন্ধানে,
পেয়েছি বাধা চলতে পথে এই সমাজ দর্শনে।
তৃষ্ণায় জ্বলছে প্রাণ অমৃত খুঁজি দ্বারে-দ্বারে,
ওগো জননী জল দিয়ে করো করুণা এবারে।
বৈশাখের ক্ষিপ্ত খরায় প্রাণ যায় যে আমার,
বড়ো আশা নিয়ে এসেছি গো দেখে তোমার।
সনাতনী বৈষ্ণব বেশে এসেছো হে আমার ঘরে,
লহ-লহ প্রণাম জানাই স্বাগতম-দাও ক্ষমা করে।
আমি যে নিম্ন জাতি নই সতী অপবিত্র আত্মা,
দানে-আঁধার আসবে ভুবনে আপনি দেবতা।
ওই ব্রাক্ষ্মণ করে দলন করে কত অবহেলা,
এই হাতে জল খায় না কেউ অন্তরে জ্বালা।
ওগো জননী, তুমি এত ভেবো না।
ধর্ম কি?ওরা আজও জানেনা।।
আমার কাছে তুমি বিণাপানি,
অন্নপূর্ণা তুমি হে পূজারিণী,
মানব ধর্ম জ্ঞানে পথ চলি এই বনে
পিপাসা কাতর প্রাণে - পা চলে না।
ওগো জননী, তুমি এত ভেবো না।।
তাই দাও গো ঢেলে অমৃত এবার,
তৃষ্ণা মিটে যাবে আমার।
আমি বুঝি না জাতি, বর্ণ
হতে চেয়েছি কর্ণ,
ওগো মানুষ ভালোবাসি!
তোমার পূজায় প্রাণ সঁপেছি
ওরা যতই করুক ঘৃণা।
ওগো জননী, তুমি এত ভেবো না।।
‘‘তোমার প্রেম গীতে খুশিতে মম নয়ন বারি ঝরে,
কত অমৃত চাও?নাও হে কবি তব হৃদয় ভরে।’’
‘‘ওগো জননী, তোমার দানে জুড়াল আমার প্রাণ,
তাই খুশি মনে পথ চলি ভুবনে গাই তোমার গান।’’
কবি এই পথে দেখে আরো অমানবিক-অত্যাচার,
কেউ বলে আল্লা কেউ বলে ঈশ্বর আমার।
তাই ওরা যুদ্ধ করে দিন-রাত ঝরায় শুধু রক্ত,
নাস্তিকতা অনেক ভালো হইও না ধর্ম অন্ধ ভক্ত।
কেউ ভাঙে প্রতিমা-মন্দির, কেউ করছে পূজা-
কেউ বা আবার মন্দির-মসজিদ ছুঁলে পায় সাজা।
ওরা মানুষ,তবে মানুষ-মানুষকে কেন করে দলিত?
উঁচু-নিচু ভেদাভেদ করে কেন করো অন্তর ক্ষত?
সকলকে সমদৃষ্টিতে দেখা যদি হয় জ্ঞানের কথা,
হৃদয়ের তা নয় কেন? চলছে যত অনিয়ম প্রথা।
আজ চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি যত দুর্ভাগা দেশে,
সামর্থ্য হীন সকলে বাঁচার জন্য গেছে একসাথে মিশে।
✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ সাল
বাংলা, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, (সোমবার)
দাকোপ খুলনা বাংলাদেশ।