মহামারী
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
আজ চতুর্দিকে অকাল মৃত্যু ধ্বনি-
মৃত্যুভয়,
ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে হৃদয়
করুণ সংশয়ে!
এবার বুঝি অকূল-অতলে
ডুবতে হবে,
প্রাণ প্রদীপ নিভে যাবে
যাবো ঘুমিয়ে।
সংক্রমণ ব্যাধি মানে না বিধি
ছড়িয়েছে জগৎ জুড়ে,
জনশূন্য ক্রন্দিত নীরব নগরী
ভাসায় লাশের সারি
সংসার মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে।
হে প্রভু, রক্ষা করো ওগো-
করুণাময়!
মুক্তির পথ দেখাও আমায়
গহীন-গহনে আঁধারে!
নিদারুণ নির্যাতন অকাল মরণ
দেখি দিবা-রাত ধরে।
আজ কারে রেখে কার
করবো সেবা?
সকলে আত্মা,দেবা-
তোমার অনুরূপ!
নির্বোধের-নিদ্রুপ, ভুলভ্রান্তি
ডেকে আনে অবনতি-
আমি করি আরতি তুমি চিন্ময়-চিদ্রূপ।
আজ করো তাই তিতিক্ষা
চেয়েছি প্রাণ ভিক্ষা
লুণ্ঠিত দ্বারে,
পাপের প্রায়শ্চিত্ত কত করবো
আর কত মরবো
লহরী তুলেছ মানব সরবরে।
যদি রিক্ত থাকে এই ভুবন
থেমে যাবে তোমার গান
দানে পাওয়া প্রাণ আজ ক্ষত,
অমৃত আস্বাদনে সাগর বন্ধনে
পেয়েছি খুঁজে যে গরল
তা তুলেছে কোলাহল -
মহাকালও সংকটে হয় বিচলিত।
কুলশিত কর্ম দোষে রুষ্ট প্রকৃতি
ভুলেছে নিয়ম-নিতি
শুধু প্রীতির টানে আসে ভুবনে,
আজ অনিচ্ছায় নিঃশ্বাস নিতে হয়
বিষক্রিয়ায় লুটিয়ে পড়ি তোমার চরণে।
ওগো এই মহামারী
কত আর ডোবাবে তরি
হই অন্ত-অন্তর্ধান,
ভুবন ভুলে যায় চলে সকলে
জীর্ণ-শীর্ণ কায় বিদায় দিলো
বেলা গেলো-
বেজে উঠলো অস্তরাগে বেদনার গান।
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল বাংলা ৭ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, শনিবার।
ইংরেজি -২১ মার্চ ২০২০ সাল
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।