কমলিকা
✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য
হে কমলিকা!
কোথায় চলে গিয়েছ আমাকে ফেলে একা?
দিবস-রজনী খুঁজছি তোমারে
প্রিয়া হারা বেদনা বুকে ধরে,
বনে-বনে, পাহাড়-পাথারে, পথে-পথে পান্থ সাঁজে।
ওগো, তুমি থেকো না আর অন্তরালে
জীবন-যৌবন গেলো বিফলে,
অশ্রুজল ছুঁয়ে ধরা দাও আমার আঁখি মাঝে।
তমিস্রা তামসীতে নয়নে নয়ন রেখে
গিয়েছিলে যে প্রেমের গান,
আজ তা হৃদয়ে বাজে
লহরী ওঠে তরঙ্গ মাঝে
তোমার বিহনে অভাগা হৃদয়টা করে আনচান।
হে কমলিকা!
মনে কি পড়ে তোমার ফেলে আশা স্মৃতি কথা?
এই হৃদয়ে শুধু তোমায় আছে আঁকা।
কৌমুদীতে রাধা সজ্জা'তে
এসেছিলে কাছে,
বেজেছিল বাঁশি ফুল ফুটেছিল রাশিরাশি
আজ রিক্ত নিধুবন শুধু পড়ে আছে।
তাই অপেক্ষার সাগরে ভাসালো আমারে
এসেছি ফেলে কত বসন্ত,
কত গন্ধ পেয়েছি প্রাণে
শুধু আছি তোমার স্মরণে
আজ আমার অনন্ত প্রেম হলো অন্ত।
কমলিকা, তবে তুমি কি আর দেবেনা দেখা?
তোমায় কত খুঁজেছি
লুণ্ঠিত হচ্ছি
তবুও মিলল না তোমার চন্দ্রিকার রেখা।
আজ আমার যমুনায় নয়ন মেলে
একবার দেখো,
বিরহ বুকে চরণ রাখো-
দেখবে সকল তরী লহরিতে কম্পিত
ছিঁড়ে গেছে পাল!
মাঝি ভয়ে পালিয়েছে
ছেড়েছে হাল!
তবুও এখন নই বেসামাল
নই প্রোজ্জ্বল
দহন জ্বলছে চিত্তে দেই অঞ্জলিতে অশ্রুজল।
কমলিকা! আজ আমার আঁখি আঁধারে জড়ানো
তবুও আছি অপেক্ষায়,
জানি তুমি আসবে না এই নিধুবনে কখনো
তবে কেন নিলে এভাবে বিদায়?
আজ শুধু মনে পড়ে
এই রিক্ত নীড়ে জমানো গল্প কথা,
এখানে আছে প্রেম আর প্রেম
আছে গীত গাঁথা।
আজ গোধূলিতে তোমায় খুঁজতে
যখনি তাকিয়ে থাকি গঙ্গায়,
দেখি তুমি ভাসছো প্রেমের ভেলায়-
আমি অক্ষয়!
তাই দাঁড়িয়ে কিনা রায়।
হে কমলিকা !
প্রভাতের পুষ্প সেজে কেন তবে ফুটেছিলে?
মধুকরী হয়ে কাছে যেতেই তুমি ঝরে গেলে।
আজ অন্তরীক্ষে অভ্র মাঝে তোমার প্রতিরূপ দেখি,
অশ্রু জলে কাছে ডেকে হৃদয়ে আঁকি
আমি তোমার ছিলাম সখা, এসো হে সখী।
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ৫ আগষ্ট ২০১৬ সাল
বাংলা ২০ শ্রাবণ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার।
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।