কে তুমি এলে জীবনের শেষ বিকেলে
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
ওগো কে তুমি এলে জীবনের শেষ বিকেলে?
রৌদ্র-ছায়া আঁচলে মেখে বধূ সজ্জায়-
আমার সন্ধানে!
হে-পুরাতন প্রেমের প্রিয়তমা আমারে করো ক্ষমা,
নেমেছে আঁধার-আঁখির ভুবনে।
একদিন ডেকেছিলেম কত যৌবনে হয়েছিলেম নত
আজ শত যাতনায় জীবন যায়-যায়,
সেদিন মুখ ঘুরিয়ে অবহেলায় আমায় দলিয়ে
তুমি নিয়েছিলে বিদায়!
ওগো কে তুমি এলে জীবনের শেষ বিকেলে?
যদিও ভুলিনি আমি আজও তোমারে
শয়নে-স্বপ্নে জাগরণে যায় অশ্রু ঝরে,
নির্জনে একান্ত চিত্তে কত নিশুতি-নিশিতে
নীরবে ডেকেছি খুঁজেছি ললিত রাগে ভোরে।
তবু-তুমি সেদিন ছিলে আমার অনাগত প্রিয়া
দিয়েছ আঘাত করেছো ক্ষত আকুল হিয়া,
ভেবেছি যখন যাব ভুলে তুমিও তখন ফিরে এলে
স্মৃতির পাতা খুলে জাগালে প্রাণে প্রেমের মায়া।
ঝরালে অশ্রুজল অনন্তকাল আছো প্রাণে
অকুণ্ঠিত অন্তরে লুণ্ঠিত হয়েছে চরণে,
মিনতি জানায় বারে-বারে!
হে নাথ, করো গ্রহণ করেছি স্মরণ
ভালোবাসি তোমারে।
ওগো-মরণের দিনে দান-দেবো কি আর?
বিফল হলো জীবন ও যৌবন আমার-
ভালোবেসে তোমায়,
তুমি এসেছো শেষ বসন্তে আমার হতে
তর্জনী ছেড়ে কনিষ্ঠ নেড়ে আছো প্রার্থনায়!
ওগো কে তুমি এলে জীবনের শেষ বিকেলে?
জীবনভর চেয়েছি যাকে ঘৃণা করেছে সে আমাকে,
শুধু-দেখেছি সে পুষ্পের প্রাণ খোলা উল্লাস!
কত মধুকর মধু খেয়েছে তার
তবুও আমার অন্তরে আজও জাগ্রত ত্রাস।
শত শ্রদ্ধা-সম্মানে গড়া আমার এই প্রেম
আমি তার পূজারী ছিলেম,
থাকবো অনন্তকাল!
তবুও আজ জেতে হবে অবাঞ্ছিত অশ্রু কত ঝরবে
আমায় রাঙাবে ঢালবে গঙ্গা-জল।
তাই হেসে-হেসে কও কথা ভুলেছি বিরহ-ব্যথা
আনন্দে অন্ত-অতলে যাই,
প্রিয়তমা এসেছে ফিরে স্মৃতি রেখা ধরে
অরুণ-বরুণ-কমল করে, করে হায়-হায়--!
ওগো কে তুমি এলে জীবনের শেষ বিকেলে?
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ইং- ৩ আগস্ট ২০১৯ সাল,
বাংলা- ১৭ শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ (শনিবার)
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।