জয়জয়ন্তী
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য

হে স্বদেশী, হে প্রেম-প্রেয়সী,
আজ গাও জয়-জয়গান!
আমরা হয়েছি  একসাথে
হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রীস্টান ।

তাই যতোই আসুক সংশয়
দুর্জয় হয়ে ছুটবো দিগন্তে,
হবে রাহু দলন ঘুচবে গ্রহণ
হক রণক্ষেত্র রঞ্জিত-রক্তে।

নক্তের-নীরবতা চায় না কেউ
চেয়েছি প্রাণের প্রভাত বেলা,
কাননে-কুসুম ফোটাতে চেয়ে
কত খেলবো এই মরণ খেলা।

এখন হই যত ক্ষয় ভুলেছি ভয়
নির্ভীকতায় লড়তে হবে ওরে,
বিদায়ের গান ভুলেছে প্রাণ
রক্ত দান দাও রে-দাও রে।

জাগরণী জনতা ঐক্যবদ্ধ-একতা,
শত্রু হত্যা করি হে! করি হে!
মাকে ভালোবেসে বীর বেশে
যুদ্ধ করি, মরি হে! মরি হে!

তবু শান্তি, ক্লান্তি ভুলেছে প্রাণ
ওগো মৃত্তিকা তোমার মায়ায়!
তোমাতে সৃষ্টি তোমাতে ধ্বংস
তোমাতে বাঁচি আঁচল ছায়ায়।

হে জননী, প্রণাম লও-লও হে
লও শ্রদ্ধাঞ্জলি আমার অঞ্জলি হে!
রাতের আঁধারে নিশাচর আসে
বুক চিরে রক্তমাংস খায় হে!

কেড়ে নিতে চায় ওরা তোমায়
নিষ্প্রাণ নয়ন ঘুমায় আজ কত,
তোমার ডাকে বুলেট বিদ্ধ বুকে
বিদায় নিয়েছে বীর শত-শত।

তবু নই শোকাহত হই ক্ষত
ধর্ষিত আজ নীরহ নারী,
ক্রোধিত চিত্ত আমার
রুদ্র তাণ্ডবে ঘটবে মহামারী।

হে-বীর কাঁপাও ভুবন তুলে শ্লোগান
প্রাণ দিয়ে নাও কেড়ে প্রাণ,
বাদল দিনে গগন গর্জনে
ভয় করি না,করবো রক্ত পান।

প্রতিশোধের আগুন জ্বলুক
যুদ্ধ চলুক এই ভূমিতে,
রুক্ষ মরু তৃপ্ত হবে
শত্রু দলন করো বজ্রাঘাতে।

হে-ভিনদেশী, হে রাক্ষস-রাক্ষসী,
মায়া বলে-ছলে চলবি কত দিন?
শুনি অস্ত্রের গর্জন থরথর কম্পন
বোমা বিস্ফারণে নেমেছে দুর্দিন।

ওই অগ্নিকাণ্ডে ভূখণ্ড গেলো পুড়ে
ধ্বংসের কলরব এখন চারিদিকে,
শুধু হানাহানি ভুলেছি শান্তির বাণী
শত্রুহত্যায় মেতে উঠেছি আজকে।

যদি আসে প্রভাত বাজবে ভৈরবী
শুনবো নদীর কলতান ;
আজ শুনি জয়জয়ন্তী রাগিণী
মেঘলা আকাশে উড়ছে রক্তাক্ত নিশান।




রচনাকাল - ১২ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা ২৭ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ (রবিবার)
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।