শ্রাবণ আকাশে মেঘের উচ্ছ্বাসে
জ্বলছে-নিভছে আলোক বাতি,
কথা ছিল প্রিয় খুলবে গৃহ
কাছে নেবে জাগাবে প্রেম-প্রীতি।
শ্রাবণের বারি ধারায়,
অম্বর হতে অরণ্যে ঝরছি তোমাকে ছোঁয়ায়,
মোর আকুল আঁখি,
তোমাকে দেখে
তৃষিত অন্তরের তৃষা মেটাতে চায়।
ঐ'অন্তরীক্ষে অভ্র হয়ে ঘুরতে কেবলি বাঁধা,
ভৈরবী কটক,
আর লোহিত রক্তচষা কাঁটা।
আমাকে দেখে এসেছিল কাছে,
ভয়ানক দন্ত বসিয়েছিল,
তুবুও আজও আছি তোমার জন্য বেঁচে।
করেছি দ্বন্দ্ব,
চতুর্দিক পুড়ে দহনে দগ্ধ,
নিজ বাহুতে দিয়েছি ওদের বলি,
অভ্র হয়ে অন্তরীক্ষে আমি ভেসে চলি।
তলোয়ার লয়ে,
বহ্নিজ্বালিয়ে ,
রাজ্য পরিচালনা করছি ভূপতি হয়ে,
দেখো,
দিবা-নিশি
অন্তরীক্ষ হতে অঝোরে অটল-অর্ণব-
অবনীতে ঝরছি মোর বিজয়ে।
তব বিহনে তৃষিত অন্তর তর,
কাছে এসে প্রিয় জড়িয়ে ধরো।
জাগ্রত নির্মল প্রেমে সকল দুঃখকে যাই ভুলে,
মম তরী তব তোয়াধির কূলে।
হর্ষে নৃত্য করছে অবনী,
ক্লান্ত অন্তরের ঘুচল যামিনী,
কান্তার তুলেছে রাগিনী,
সমীরে সখী উড়িয়েছে সবুজ আঁচল খানি।
নব রঙ্গনের রঙে আঁকা সকলের মুখ,
এ'যেন চলছে এক বসন্ত,
স্বদেশে নেই আর অভাগা ভিক্ষুক।
ক্ষরিত হয়ে যতো বারি হয়ে ঝরি,
মৃত্তিকা চিরে নব স্রোতস্বতী ততো গড়ি তরী।
সলিল স্রোতে ভেসে গেছে সকল জীর্ণতা,
রতিতে হংস মিথুনরত,
দল বেঁধে ভেসে চলেছে অবিরত,
মোর বক্ষে আজ লুকিয়ে আছে সবিতা।
//
উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ খুলনা
:::~~~~~~~~~~~:::