জাগো হে বীর
✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য
নিদ্রা মগ্ন হয়ে নগ্ন,
কে আছিস মায়ের কলে তোরা?
আজ দেখ স্বদেশে এসেছে কারা।
সেই ভিনদেশী হয়ে রাক্ষসী
খেতে চেয়েছে আবারো অমৃত,
ছলনাময়ী চির অবিশ্বাসী
হয়ে আছে আজও ওরা অক্ষত।
পথের পান্থ ভেবে করেছি যাদের ক্ষমা
আজ তারা ফাটায় বোমা
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে করছে ভস্ম,
ওরে তোরা কি করে দেখছিস
মায়ের করুণ দৃশ্য?
কবি তাই ভূধর কাঁপিয়ে তড়িৎ হয়ে
অন্তরীক্ষে করছে গর্জন,
বিক্ষোভ-বিদ্রোহ কণ্ঠে বলছে
জাগো হে-বীর! আজ করতে হবে শত্রুদলন।
কবি জানে ওরা লোভী-কাপুরুষ-নির্বীজ,
নেই ওদের কোন ঐশ্বর্য- পেট ভরে না খেয়ে !
দল বেধে আসে তাই লুকিয়ে-লুকিয়ে।
বাহুতে তলোয়ার নিয়ে যখন
ওদের পাছে ধাওয়া করি,
বাহু জোড় করে ক্ষমা চায়
চায় না মৃত্যু-মহামারী।
আমরাতো চাই প্রেম-করুণা-ক্ষমা-শান্তি,
চায় দুশমন-দুর্গতি ভয়ানক অশান্তি।
তাই এসেছে দ্বারে,বাধিয়েছে দ্বন্দ্ব-
জীবন-জীর্ণ মেলেনা ছন্দ,
তবু বাজছে হৃদয়ে সাম্যের গান!
নিতে চাইনা অযথা প্রাণ,ঝরাতে চাইনা রক্ত,
উঠুক অর্ক’ ঘুচুক নক্ত- করি শান্তির আহ্বান।
কিন্তু ওরা অহংকারে অট্টহাসি হাসে
ভীতু-দুর্বল ভেবেছে উল্লাসে,
এসেছে নিতে নিদ্রা কেড়ে!
ক্ষত-বিক্ষত দেহে ঝরছে রক্ত
হচ্ছে নিরীহ জনতা দলিত,
খাদ্য-খেতে বসেছে গেড়ে।
আমরা বিশ্বাসী,
তাইতো সকল কে ভালোবাসি-
ডেকেছি ওদের ভ্রাতা!
মঙ্গল চাই-
চাই শান্তি,অন্তরীক্ষে দীপ্তি!
ওরা ততো চায় অবনীতে
উৎপীড়িত ভয়ানক অশান্তি দুর্গতি।
বাহু জোড় করে বলছি
কি চাও এখন?
ওরা বলে আমরা তো চাই রাজ্য
‘কালিয় হয়েছি করবো দংশন’।
তাই অবশেষে ধরেছি
বাহুতে বোমা-বন্দুক-তলোয়ার,
নিচ্ছি প্রাণ গাও বিজয়ের গান
অস্ত রবি উদিত হলো আবার।
রচনাকাল ৩০ মার্চ ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ,
- ১৫ চৈত্র ১৪২৪ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার।
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।