জাগাও দ্রোহ আপন মনে
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
অমাবস্যার গুরু-গম্ভীর রজনী চলছে এখন
চতুর্দিক ভয়ঙ্কর তমিস্রায় প্লাবন,
ডুবেছে প্রভাকর সম্মুখে গৌর শিখর
দানব-দেহান্তের পাখনা গজিয়েছে’‘সীতা লুণ্ঠন’।
পৃথিবী কাঁপিয়ে,স্বরিত মাতিয়ে,
ভূধর-ভেঙে উঠেছে জেগে তাই বীর!
শত্রুর সম্মুখে দাঁড়িয়েছে রুখে,
করছে যুদ্ধ মুক্ত করবে শত নারীর।
তা দেখে ভিতুরা ভয়ে মরে চরণ ধরে,
লুকিয়েছে অন্তরালে!
ঘরের দুয়ার ভাঙতে হবে এবার,
চতুর্দিক বহ্নি জ্বলে।
অশ্রুজলে থামে না কলহ, জাগাও দ্রোহ -
ওরে তোর আপন মনে!
হাতে নাও অস্ত্র, কেড়েছে দ্রৌপদীর বস্ত্র,
শক্তিহীনা মিনতি করে লুটিয়ে পড়ে ক্রন্দনে।
তা দেখে অট্টহাসে নৃশংস রাজ উল্লাসে,
বলে চুপ কর্ ওরে কাপুরুষ!
দাস-দাসী তোরা হয়েছিস সর্বহারা,
নিজস্ব ধর্মের বন্ধনে বেহুঁশ।
বীর-তবু সে আজ অজ্ঞানী আপন করেছে বনানী,
বনবাস পেরিয়ে হবে অজ্ঞাত বাসী!
এ-কোন ধর্ম নয় কূটনীতির হচ্ছে জয়,
প্রলয় আসুক-আমি ন্যায়-মুক্তি ভালোবাসি।
আজ কোথায় দুর্যোধন? বেরিয়ে আয় দুশমন,
দুঃশাসনের বক্ষ চিরবো আমি!
যারা ছিল দূত সভায় হবে ক্ষয়-লয়,
মৃত্যুদণ্ড দিতে হয়েছি সংগ্রামী।
হয়েছি রক্তপিপাসু-রুদ্র-দিবাবসু,
তোর রক্তে নারীকে করছি স্নাত!
বাহুদ্বয় উপড়ে দিয়েছি জঙ্ঘা চিরে
বিধ্বংসে রক্তে ধরণী প্লাবিত।
কুরুক্ষেত্র-কম্পিত, অন্তরীক্ষে বজ্র গর্জিত -
গাণ্ডীব ঝংকারে!
অন্যায়-অবিচার, অপহরণ-ধর্ষণ,
প্রতিহত করতে হবে এবারে।
তাই চঞ্চলা-উতলা অগ্নি নয়নে শত্রু দলনে,
ছুটে চলো হে-বীর!
আজ রুদ্র তাণ্ডব হবে, বিধ্বংস হবে,
বেজে উঠুক হাম্বীর।
রচনাকাল -১৫ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ,
বাংলা- ৩১ আষাঢ় ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, বুধবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।