গৃহশত্রু
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
আজ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীতে
স্বদেশ গেছে ভরে,
ওই জনতার ভোটে জয়ী হলে
দারিদ্র্য-দুঃখ ডোবাবে নিতলে
বিশ্বাসে সমর্পণ করি তারে।
কত আমিত্ব প্রকাশে হেসে-হেসে কথা কয়
দিন যায় তাদের পরনিন্দায়,
যেন প্রস্তুত রক্তে ইতিহাস লিখতে
শুধু মরতে ভয় পায়।
তাই সুসজ্জিত মহল ছেড়ে জন তার ভিড়ে
রাখে না পদচিহ্ন,
ভয়ে ক্ষমতার বলে সাথে নিয়ে চলে
শত-লক্ষ সৈন্য।
যত নিখরচায় করে ভ্রমণ
কালো টাকায় সুখ পোষে সর্বক্ষণ
তবু শুনি ওদের জয়গান!
সম্মুখে দেখায় দেশভক্তি পিছনে করে দুর্নীতি
হিংসা বিদ্বেষ গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করে আজীবন।
জানি ওরা সামর্থ্যধারী ক্ষমতা অপব্যবহার কারী
স্বার্থে করে রাজনীতি
অবহেলিত জনতা মনে করে ওদের বিধাতা
বাস্তবে ওদের অন্তরে নাই প্রীতি।
তাই তো শুনি দিনভর পথিকের কান্না,
কখনো কি দেখেছো অসহায় মানুষের বেদনা?
তৃষিত-ক্ষুধার্ত মনে অরণ্যে নিয়েছে আশ্রয়!
আজ কোথায় ওরা? পীড়িত-শোষিত আমরা
কত দিয়েছে মিথ্যা অভয়।
ওরা ছদ্মবেশধারী ভদ্রতার আড়ালে
করে অকর্ম,
ক্ষমতার বল দেখায় চিরকাল
ঘুষ-লুট জনতার রক্ত চুষে খায়
ভুলেছে মানব ধর্ম।
তাই জাগো জনতা ওরা দেশের সম্পদ
করতে আত্মসাৎ-
সেবক সেজে বাঁধায় দ্বন্দ্ব,
আমাদের খেয়ে শান্তি নিকেতনে শুয়ে
ক্ষুদিরাম-সুকান্তকে করে দগ্ধ।
যারা দেশকে ভালোবেসে দিয়েছে বলিদান
ইতিহাসে অমর তারা মহান,
আর এরা তো ভণ্ড কূটনীতিবিদ
শুধু করে অমৃতের সন্ধান।
রাজনীতি করে না দেশ উন্নয়ন
উন্নয়ন করতে লাগে মন,
আর এরা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে
ব্যবসা করে
স্বদেশের সম্পদ সব লুট করে
গড়ে তোলে টাকার স্তূপ দ্বারে জ্বালিয়ে রাখে ধূপ
মন্দির ভেবে প্রবেশ করি,
প্রাণ বাঁচাতে পূজা করি ওদের প্রতি প্রভাতে
তবুও ক্ষুধার্তে আমরা মরি।
যত লাঞ্ছনা-বঞ্চনা এই জনতার অদৃষ্টে
করি প্রাণত্যাগ প্রতিক্ষণে পদপিষ্টে,
তবুও দুর্ভিক্ষের স্রোতে ভেসে পরাধীন বেসে
রেখেছি দেশকে দৃষ্টে।
রচনাকাল ২৬ সে সেপ্টেম্বর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা ৯ আশ্বিন ১৪২৫ বঙ্গাব্দ,বুধবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।