ফেরারি নক্ষত্র
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
বসন্তের শেষ বিকেলে কেন এসেছো
আমার হৃদয়ের ভাঙা দ্বার খুলে?
গোধূলি রঙিন মুখ, চারিদিক ঝলোমলো,
কেন মায়া চোখে অপলকে তাকালে?
বসন্তের শেষ বিকেলে ----
তোমার ওই রূপের আলোয় পথ চিনেছি,
হাত বাড়িয়ে কাছে ডেকেছি,
জড়িয়ে রেখেছি--হৃদয়ে অনুরাগে!
ওগো তপ্ত তৃষিত বালুচরে তুমি ঝরালে অমৃত
আজ নই অর্ধমৃত, যৌবনে প্রেম জাগে।
আনন্দে তাই ফুল ফোটে বাগিচায়
সুগন্ধে মধুর মিলনে মন হেসে ওঠে,
তবে কেন বেলাশেষে ঝরে পড়ে ওরা?
দলিত হয়েও কেন গন্ধে ভরা?
দিনভর স্মৃতিরা সব বেদনার গান
গেয়ে ওঠে--আপন কণ্ঠে।
এখন একলা পথ চলেছি আঁধার রাতে
নির্ঘুম নির্জনে নীরবে কাঁদে অপেক্ষা,
ঢলে পড়া বাঁকা চাঁদের আধো আলোয়
সুদূরে দাঁড়িয়ে কে যেন ডাকে,
আয়--অচেনা অন্তলোকে তবু করি প্রেমভিক্ষা।
ফেরারি নক্ষত্র, ধূসর মেঘের আড়ালে আকাশের
নাভি কমলে সাজিয়েছে বাসর,
মায়াবতী, সত্যকার অস্তিত্ব শূন্য নীলকণ্ঠী সে
বেদনার বিষ পানে আরো তেজস্বী-তা দেখি তার।
সবই ভুল, চিনতে পারিনি মোহিনী রূপ
ওরা এভাবে সহসা আসে আবার চলে যায়
আমরা ভুলিনা, বুকে পুড়ছে প্রেমের গন্ধহীন ধূপ।
রচনাকাল, ২ জানুয়ারি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ,
১৬ পৌষ ১৪২২ বঙ্গাব্দ, শনিবার।
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।