দেবদূত
✍️-উজ্জ্বল সরদার আর্য
আমি ঈশ্বর দেখিনি, তবু ঈশ্বর খুঁজি রোজ।
শত-সহস্র দুঃখ বুকে নিয়ে, মন্দিরে-মন্দিরে
মাথা ঠুকিয়ে, খুঁজে পেয়েছি কেবল মাটি-
পাথরের তৈরি শিল্পী নন্দিত ভাস্কর্য
অমর প্রতিমা।
কত রাত অনাহারে কেটে গেছে নির্জন
আঁধার গৃহবাসে।
তবুও প্রকাশ হয়নি, পূর্ণতা পাইনি কঠোর
উপবাসে আমার ধর্ম উদযাপন।
আঁখির অশ্রু স্রোতে ভেসে গেছে জনপদ।
প্রদীপ হাতে আরতি করেছি সারা সন্ধ্যা
নিশ্চুপ দেবতাকে।
পয়সা শূন্য হাতে মানত করলে আজ আর
ভাগ্য পরিবর্তন হয় না।
অর্থের পরিমাণ বুঝে আশীর্বাদ বিক্রি হয়।
সময় যখন কঠিন হয়, প্রভাতের নিষ্পাপ ফুল
তুলে অশ্রুজলে যতই পূজা করা হোক,
মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ধনীদের ভগবান।
রাত্রি শেষে সাগর শুকিয়ে গেছে অবলীলায়।
শুষ্ক মরু বালু চরে পড়েছে ক্লান্তির পদচিহ্ন।
নির্ঘুম চোখে হতাশার অন্ধকার দূরীভূত
হতেই চায় না।
দিনের আলোয় হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্রকে
কেউ খোঁজে না।
ব্যস্ত শহর শুধু ছুটছে আপন লালসায়।
ক্লান্ত পথচারী, একান্তে রোড লাইটের নিচে
বসে, নিকোটিন মিশ্রিত সাদা ধোয়ায়
ভাসিয়ে দিচ্ছে মনের হাজার দুঃখ গুলো।
রুদ্ধ ঘরে যখন শ্বাসপ্রশ্বাস অবরুদ্ধ হচ্ছে,
ঠিক তখনি এলে---
দেবদূত, মানবিক তুমি, মানব ঈশ্বর।
রচনাকাল, ২৮ জুন ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ
১৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।