ছুঁয়ে দেখা
     ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য

    আকুল মনে রজনীর নির্জনে তোমার নিকটে এসে
    কত কিছু বলতে ইচ্ছে করে,
    কিন্তু আজও অপ্রকাশিত থেকে গেলো
    ভালোবাসি কথাটি।
    তোমার ওই কাজল কালো হরিণাক্ষী,
    মোহিনী মৃদু হাসি,শিশিরে ভেজা গোলাপের
    পাপড়ি রাঙা ঠোঁট,সৌরভ শোভিত দীর্ঘ চুলের    
    আলতো ছোঁয়া আমার প্রেমিক মনে ওঠে কাব্যলহরী।

    ওগো তাই প্রেমের কবিতায় চুম্বন এঁকে,
    আজ খুঁজি রহস্যময়ী অধরা হৃদয়ের অতুল রহস্য।
     মধ্য রাতে ঘুম ভাঙা মনের চঞ্চলতা,
     দুর্লভ স্বপ্নের পিছু হেটে চলে নির্জন পথ ধরে
     তোমার আঙিনায়।
     বৃষ্টি ভেজা স্নাত সন্ধ্যায় বন ফুলের গন্ধে মেতে
     তোমায় ছুঁয়ে দেখা রচিত হলো আমার প্রথম কাব্য।

     তবু তুমি অবুঝের মত স্থির, মুখ ফিরিয়ে দিগন্ত ছুঁয়ে  
     দাঁড়িয়ে আছো নীলাদ্রি হয়ে নীলিমায় মিশে।
     আমার প্রেমিক মনের ব্যাকুলতা উত্তল তরঙ্গ
     ঢেউয়ে মিশে,
     আছড়ে পড়ছে অবহেলিত সম্পর্কের তীরে।

     আর আজ প্রদীপের আলোয় তোমার রঞ্জিত ঠোঁটে  
     চুম্বনের চিহ্ন দেখি।
     গলে পড়া মোমের নাভি স্পর্শ কাতরে
     কম্পিত হৃদয়ের নেশা মিশ্রিত অবরুদ্ধ নিঃশ্বাসের
     ধ্বনি শুনি বসন্ত বাতাসে।
     পূর্ণিমা রাতে উন্মুক্ত বুকে অভিনব ভালোবাসা
     জড়িয়ে প্রেমের আলিঙ্গনে দেখেছি হারিয়ে যেতে।
     আজ রক্তে-রক্তে ঘামে আদরে অধরে লালায়
     ভেসে ওঠে কত সাক্ষর, তবু সম্মুখে আমি নত হই -
     হয়নি ছুঁয়ে দেখা।


রচনাকাল, ১৩ জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ,
২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, সোমবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।