বোধন
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রিক্ত তৃষিত আকুল অন্তরে,
পড়ে আছি জগত সংসারে-গো!
আজ অশ্রু ঝরে শিশিরে-শিশিরে
শিউলির গন্ধে মন ভরে,
ওই শরৎ এলো কাশফুল ছুঁয়ে গো।
হালকা হিমেল বাতাসে বসে
মাখছি জোছনা,
মন্দিরে মাদল-কাশী
বাজল বাঁশী জাগলো বীণা।
তাই আসেনা ঘুম
ঝুমঝুম বাজছে আগমনী,
এসো মা-উমা’
এসো-এসো হে রুদ্রাণী।
ওগো করো দানব-দমন করছি বোধন
বাজুক ঝংকার,
পশুরাজ ছেড়েছে হুংকার
থর্ থর্ থর্ তাই কাঁপছে ভুবন
অসুরের দাও গর্দান-দশ অস্ত্র ধারী!
কত খুঁজি রণক্ষেত্রে এসেছো শরদিন্দু রাত্রে,
আজ থাকো শুধু মন্দিরে করছে পূজা-পূজারী।
ফুল-জল-ধূপ, সাজিয়ে নৈবেদ্য স্তূপ,
প্রদীপ জ্বালিয়ে করছে আরতি!
জেগেছে ভক্তি আমি চাই শক্তি
নাশিনী-নাশ করো দুর্গতি।
মায়ার বাঁধনে বেঁধেছ আমায়
হৃদয়ে দিয়েছ ভয়,
ওগো-অভয় দাত্রী জননী!
আজ সংসার ক্ষুণ্ণ শুষ্ক তৃণ
দহনে দগ্ধ বনানী।
তবু তুলি ফুল শিউলি-শিমুল
গেঁথেছি মায়ায় মালা,
চলেছি ওই পথ হয়ে উন্মাদ
ভেঙেছি দ্বারের তালা।
আজ শুনি শ্লোগান মুক্তির আহ্বান
ব্রত বাঁশী জাগরণ!
দেবে রক্ত হয়ে ভক্ত, করবে সংসার-সংস্করণ।
তাই চন্দ্র চিহ্ন ললাটে এঁকে মন্দিরে মাকে দেখে
করলাম প্রণাম,
অঞ্জলি লও-লও কাছে আমারে
এসেছি তোমার দ্বারে পূর্ণ করো মনস্কাম।
আজ করতে চাই দুর্ভিক্ষ জয়
শত্রু করবো ক্ষয়
সত্যি এত মন্দির নয় রণক্ষেত্র,
রুদ্র বীণার ঝংকারে ত্রিশূল বক্ষে গেঁথে মরে
তবুও-তো দেখি ওরা অক্ষত।
রচনাকাল ৬ অক্টোবর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ,
২০ শ্রাবণ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ,সোমবার।
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।