বিধাতার বুকে মানবীর পদচিহ্ন
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
নিশুতি নিশির নিঃশব্দ বুকে শীতল সমীরে
কান পাতলে শোনা যায় আজও অজস্র
নির্যাতিত ক্ষত রক্তাক্ত মানবীদের কান্না।
তথাকথিত সভ্য-সমাজের অন্ধকার কারাগারে
বন্দী রেখে দেওয়া হয়েছে ওদের বুকে পাথর চাপা।
নারী আজ দাসত্বের শৃঙ্খল ছিঁড়ে মুক্ত হতে চায়,
নপুংসক শাসিত দুয়ার ভেঙে বাঁচতে চায়,
কবির কলমে অঙ্কিত সুসজ্জিত
কবিতা হয়ে পাণ্ডুলিপিতে অমর হতে চায়,
চায় মনমুগ্ধকর সুন্দর এক স্নিগ্ধ সকাল।
মানবী তুমি দেবী! বধূ সজ্জিত বেশে মানবের
কুটির প্রাঙ্গণে কোটি বছর আগে করেছিলে প্রবেশ,
অন্ধক অসুরের দল তোমায় চেনেনা
ক্ষুধার্ত হিংস্র পশুর খাদ্য করে বিধবা সজ্জায়
সাজিয়েছে মৃত লাশ।
তাই জেগে ওঠো আজ রুদ্রাণী রূপে
হুংকার ছেড়ে পৃথিবীকে জানিয়ে দাও
যে তুমি কেবল মাটির তৈরি পুতুল নও।
ক্ষুধিত ক্রোধিত অত্যাচারিত সমাজের বুকে
পদাঘাত দিয়ে তুমি এসো,
মনের মলিনতা সরিয়ে জাগ্রত অন্তরে শোষিত রাজ্যের
দুয়ার ভেঙে প্রেমের কবিতা হতে।
তোমার আগমনে স্বর্গীয় আলোয় পৃথিবী হয়ে উঠুক প্রেমিক,
স্বাধীন সজ্জিত কবিতা হয়ে উঠুক প্রেমিকা।
আর কতদিন করবে নারীর রক্ত মাংসের আস্বাদন?
এবার হবে জয়-নয় বাধ্যবাধকতা,
লক্ষ নিদ্রিত অভিশপ্ত বিশ্ব বিধাতার বুকে আবারো
অঙ্কিত হোক রুদ্রাণী মানবীর পদচিহ্ন।
রচনাকাল, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দ,
৩০ ভাদ্র ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।