সবনশেষের অর্ষমা অবছায়া
আঁচলে মেখে চলছে গোধূলি,
"স্রোতস্বতীর স্রোতে ভেসে
চতুর্দিক একাকার"শরতের সকল রং তুলী।
নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলে ভদ্রার কূলে নির্জনে নিরবে বসে আছি,
আমার আঁকুল আঁখির অশ্রুতে এ'প্রকৃতির চরণ রাঙিয়েছি।
অবগুণ্ঠন ফেলে,
লজ্জিত স্মিত ভুলে,
দাড়িয়েছে পাশে কাশবন মাথাতুলে;
সর্ব অঙ্গে অধরের অমৃত দিচ্ছে-মাতাল সমীরণে দুলে দুলে।
বাসায় ফিরে আসছে দলে দলে ক্লান্ত সুখ সারী,
শঙ্খচিলের ডানায় মুখ ঢেকেছে শর্বরী,
আসছে শরতেরর শীতল সমীরণে শিউলীর সুগন্ধের তরী।
গম্ভীর জলাশয়ের বুকচিরে ফেলছে জেলে জাল,
তাদের মুখে মুখ রাখায় ফুটেছে হাসি আজ অবনী হয়েছে উজ্জ্বল।
হয়েছি যেন আজ প্রবাসিনী,
শীতল সলিল
সহসা স্মরণে মগ্ন হয়ে আছে,
আঁখিতে আঁখি রেখেছে,
বেজে উঠেছে এমন খনে আমার মনে নির্মল প্রেমের রাগিনী।
আমোদি আবেগি অন্তরে শুনী ক্রমাগত ক্রন্দন,
আঁখিতে বারির লহরী দিচ্ছে চুমু চুম্বন,
হয়েছি যেন মহাপ্রেমিক নেই আমার কোন বন্ধন।
পান্থ বেসে
খোলা কেশ উড়িয়ে দিয়েছি শরতের বাতাসে,
উদাসিনী মনে
বিষাক্ত ধোয়া নিচ্ছি নিশ্বাসে নিশ্বাসে।
অবশেষে ক্লান্ত হলো তরুণ উষা,
এসেছে শরৎ সন্ধ্যা মিটেছে মনের তৃষা।
মন্দিরে বেঝেউঠল মাদল কাশী,
আজ বাজেছে বাঁশী,
এ'শরৎ সন্ধ্যাকে যে অনেক -অনেক ভালোবাসি।
//
উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ খুলনা
-----------///-----------