একবিন্দু ধূলির দেবনা অধিকার
✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
যুদ্ধের দিনে কাঁপে প্রাণ, সম্মুখে শত্রু করছে আহ্বান!
ভিতু-দুর্বল ভয় পায় কলহ-কোলাহল,
তাই করছে দজ্জাল বিজয়ের গান।
কত যোয়ান সৈনিক বলিদান দিলো
রক্তে-রঞ্জিত হলো ভূমি,
আমরা আছি লুকিয়ে অন্তরালে
মৃত্যু ভয়ে হতে চাই না দেশপ্রেমী।
রক্ত দেখে আসে জ্বর, লাশ দেখে ভয়ে মরি,
বাঁচতে চাই
সুন্দর শরীর অক্ষত থাক, নিদ্রিত নয়নে থেকে
দেখি স্বপ্নে-সংশয়!
বাতাসে থাকি তাই কান পেতে,
কাল যাত্রার ধ্বনিতে কেঁপে ওঠে ধরণী!
কখন কে চলে যাবে, বিদায় নেবে-নীরবে ক্ষত প্রাণে -
দহনে জ্বলছে বনানী।
ভয়ানক কলরব চারিদিকে, গুলি লেগেছে
কোটি জনতার বুকে,
কপাট খুলে নয়ন মেললে দেখি শুধু লাশ
কাঁদতে দেখি হে-জননী তোমাকে।
তবু বাঁচার আশায় সব ছেড়েছি, লুকিয়ে আছি
গোপন-গৃহে!
ভুলেছি স্বজন, ভুলেছি প্রেম, ভুলেছি যুদ্ধ,
হে -কবি জাগিও না বিদ্রোহে।
ওরে-অন্ধ, ওরে-অবুঝ, ভয়ে-ভিতু হয়ে
করিস না মুর্খামি!
যারা মরেছে-মরবে তারা অমর তুই ভিতু
হতে হবে তোকে সংগ্রামী।
মৃত্যু থেকে পলায়নের সময় নয় এখন,
বাজাও রুদ্র বীণা জয়ের আশায়,
শত্রু কেড়েছে জন্মভূমি
হে-নির্বীজ হয়ে ওঠ দুর্জয়।
যে বুকের দুগ্ধ খেয়েছিস,আঁচল ছায়ায় ঘুমিয়ে
ভুলেছিস কেন তারে!
আজ বলিদানে মায়ের চরণে লুটিয়ে পড়,
শত্রু এসেছে দ্বারে!
স্বগত জানাই তোমারে ভোরের আলোয়
নয়ন মেলে এগিয়ে যাও হে বীর,
নৃশংস রাজ রাবণ বংশীয় বিধ্বংসী-সে
যুদ্ধে রত বুদ্ধিতে স্থির।
তবু হতে হবে অর্জুন-মহামহিম,
এসো হে -বীর রুদ্র রূপে রণক্ষেত্রে!
কম্পিত হক ভূমি, রক্তে হক প্লাবন,
জাগ্রত হও লড়তে একত্রে।
আমার স্বদেশ,এই মাটি, রুক্ষ-তৃষিত এখন
দাও রক্ত-দাও প্রাণ!
‘‘এক বিন্দু ধূলির দেবনা অধিকার’’
আমি যোদ্ধা, আজ করি বিদ্রোহের গান।
রচনাকাল, ৭ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা ২৩ আষাঢ় ১৪২৭ বঙ্গাব্দ,মঙ্গলবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।