রিক্ত তৃষিত আকুল অন্তরে ,
পান্থ হয়ে পড়ে আছি জগত সংসারে।
সহসা সমীরণে শিউলীর সুগন্ধ এলো,
আজ বুঝি এ'নক্তে শরৎ নরপতি হলো?
কান্তারে কুসুম ফুটলো,
মায়ের মন্দিরে মাদল-কাশী-
আজ বাঁশী বাজলো।
হর্ষে হেসে,ছুটছি শেষে, ভেঙেছে আমার নিদ্রা খানি,
প্রভাতের পুষ্প কুড়িয়ে মালা গেঁথে পরাতে চেয়েছি তোমায় ওগো রুদ্রাণী।
এক-পা,দু-পা করে
মালা খানি বাহুতে লয়ে- চললাম মায়ের মন্দিরে,
মায়ের আশির্বাদে ধন্য হবো এবারে।
ও-মা !
এ'আজ কি দেখছি?
জনতার স্রোতে ভেলা হয়ে- ভেসে যাচ্ছি,
আজও অবগুণ্ঠনে মুখ ঢেকে আছি।
ঐ'হাজার জনতা-আমারে দেখে
থুঃ-থুঃ ফেলছে,
আমার আঁখি জলে মৃত্তিকা ভিজছে।
তবুও আজ আমার তৃষিত আকুল অন্তরে নেইকোন ব্যথা,
মা আসায় হয়েছি উন্মত্ততা,
স্রোতস্বতীর স্রোত চিরে-
তরী লয়ে গেলাম পুলিনে,
মন্দিরে মাকে দেখে লুটিয়ে পড়িলাম চরণে।
তা দেখে
ওরা দল বেঁধে
আমার কাছে এলো ছুটে,
আমার গলা ধরে
বেরকরে
মারল মৃত্তিকায় -পড়লাম লুটে।
অন্তরের ক্রন্দনে
আকুল আঁখির সলিল
ঝরিয়ে দিলাম ওদের রাঙা পায়,
ওরা যে ভদ্র পোশাক পরে হয়েছে বাবু,
কেন আমারে মন্দিরে ঠাই দেবে?
আমি তো উন্মাদ পান্থ,
পথ হলো আমার একান্ত নিলয়।
তিলোত্তমায় গড়ে ছিলাম যে মালা খানি,
আমি পান্থ তা মানি,
দিতে দিলোনা আমারে মায়ের গলায়;
তবে মা ও কি কেবল ওদের ?
এ আমার জন্ম হলো কোন দুলিয়ায়?
//
উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ খুলনা
----------------------------