হাটিনু ধীরে রাস্তা, মোড়ে মোড়ে কংক্রিটের পোড়া তাপ
একুশ বছরে এই সোহাগির এক ধাপ—
শীতের কাটাছেড়া কৌশল কাটে- এই তাপের আশ্রয় যাতে;
অক্ষুন্ন ক্লান্তির গর্ভে কোন শ্রমিক?
দিবালোকে বসে মাটির খাটে নিশ্বাস নেয়, ভাবে—
অযথা জীবন বিনা স্বার্থ উর্ধ্বে দিলা
আমি যে সাজাই দিবো বসুমতীরে পাথর- শিলা।
তবু সোহাগির এক ধাপ—
নেহাত এক বিন্দুতে বসি, জ্ঞান আহরণের পিপাসা;
তাকায়াছে সপ্তসুর, অণুপমার মুখের চাঁদ।
পরনির্ভরশীল চাঁদ আলো নেয় ধার,
আরেক চন্দ্রে, কে নেবে অণুপমার আলোর দ্বায়ভার?
বিদীর্ণ নক্ষত্রের রাতের ঘুম -কালঘুম
আলিঙ্গনে পিষে গেছে রাত্রির কথা
হাটিনু ধীরে রাস্তা, মোড়ে মোড়ে কংক্রিটের পোড়া তাপ
একুশ বছরে এই সোহাগির এক ধাপ—
জন্ম তাহার চৈত্রে, বেঁচে থাকে বয়সী যেনো
ঘাসের কাপরে মোড়া-
কতদিন আছিলো, সন্ধ্যার পর দুয়ারের দোষে
ডাকে নাই এপারে সুধাময়ী চৌকাঠের পারে বসে।
আমি যত শত হিসাবে মজিয়াছি
শোঁকে কোন্দল, অনুবাদ-শ্রমিক ব্যস্ত মুখে,
স্লোগান দেয় অন্তরের চৌকাঠ রুখে।
হাটিনু ধীরে রাস্তা, মোড়ে মোড়ে কংক্রিটের পোড়া তাপ
একুশ বছরে এই সোহাগির এক ধাপ।