একই শব্দচয়নে তোমাকে নিয়ে প্রিয়তমা কোন কবি কিভাবে লিখতে পারতো?
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)—
দিবানিশি তারি চিরতরে পোহাইলো বঞ্চনা
স্রোতধারা তার সঙ্গী,
বিহঙ্গ বিছায়েছে প্রেমের তরী
বিষাদে ভাবায়াছে পিরিতি
তাহার আপদমস্তকে নন্দিত চঞ্চলতা
আখিঁতে বসন্তের চাহনী সঞ্চয়িতা।
(কাজী নজরুল ইসলাম)—
অশ্রুসিক্ত বেদনা দিবানিশি
বঞ্চনায় মোর বাঁশির সুর
প্রেম তরীতে বিদ্রোহ জাগে
বিষাদে দেখি নয়া দিগন্তের সুর।
সারাদেহ যেনো মাখে বসন্তের বাঁধন
নন্দিত চঞ্চল আঁখি
এই ভুবন কাঁদে দিয়া মোরে ফাঁকি।
(জীবনানন্দ দাশ)—
এই হেমন্তের গাঙচিল তাহার বঞ্চনার প্রতীক
দিবানিশি নক্ষত্ররা উজ্জ্বল হয়েছে প্রেমের তরীতে
মৃত্যুর নিরাশা জেগেছে রাত্রি বিষাদে,
হিমাদ্রি জেগেছে আপাদমস্তকে,
আঁখিজোড়া দিয়েছে গাঢ় অন্ধকারে তার চাহনীর নির্জনতা।
(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)—
বঞ্চনায় পুড়ে অষ্টমীর মুখ, কালো-কালো কাদম্বিনীর চিৎকারে,
কৈলাশী দিবানিশি পরম প্রেমের তরী
বিষাদের বিভৎস কান্না,
সহিষ্ণু প্রেমে- কঙ্কাল কাটার চঞ্চলতার বিক্ষোভে
চোখের রক্তিমা সুখ আজ প্রেমের প্রতিবাদী।
(মুকুন্দরাম চক্রবর্তী)—
বঞ্চনা পুষে পাউষে, অনাচার
পিরিতের তর্জে ;
বিষাদ কল্ল ভ্রষ্ট তরী
আঁখীর পাষাণী গর্জে।
(প্রেমাঙ্কুর আতর্থী)—
বঞ্চনা ফুরাইলো দিবানিশি এ পথের প্রান্তরে
নদী স্রোতে অনাদিকালে আকাশের পানে চাহনী-
প্রেমের তরী বিষাদে মাখে পিরিতি
এ যেনো, কাজলের উৎসবের আমেজে আঁখির সাঁজ।
(বালাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়)—
আজ বঞ্চনা মুছার উৎসবে
তোমার প্রেমের তরী ডুবিছে
ক্ষণ মুহুর্ত যেনো বিষাদের ছায়া ঢালে
আখির চাহনী মিটিমিটি হেসে
ফুটায় নন্দিত চঞ্চলতা
(উৎসর্গ: মুহাম্মাদ সাইফ ভাইয়ের চিরন্তন প্রিয়তমাকে)