এই প্রকৃতি বোধে জাগে হৃদয়,
সবুজের মাঠ লিখতে লিখতে ফুরায়, বাতাসের কাগজ।
কৃষক কাটে ধান কুড়ায় পাট খড়ি আলু-পটল-ঝিঙে এই মাটির অভাবনীয় আহার,
নদীতে মাছ ধরে আনি ল্যাঙট পড়া জোয়ানের কত বাহার।
গ্রামের চালা ঘরে, কৃষাণ- কামালের সঙ্গ কালে
আমার অনাচারী লগ্নে আলোর বিষাদ জ্যোৎস্না ঢালে।
রোদ্রে পুড়ে ক্ষিপ্ত মুখ— চেয়ে দেখ, বেশ!
কালা কৃষকের চামড়ার কত তেজ,
রোদ-বৃষ্টি-বাতাসে তার চামড়ার ছাউনিতে ফসল ঢাকা থাকে— নিজের দীর্ঘায়ু খেটে,
অর্ধ-পেটে ভাত রাখে, অর্ধেক অন্যের পেটে।
সুখিজন আসিবার কালে এই সবুজে
নিজেরে ভাবে অনিবার্য প্রেমের কথন;
দূর্গমে বাঁচে এই পৃথিবী - বাংলার প্রকৃতি বোধে যতন।
সংকল্পে ভাবি সবে আবার এই দেহের জন্ম হলে,
হাজার বছর লিখবো বসে কাঠাল গাছের তলে
এই প্রকৃতি নিয়ে;
যত দূর অন্তর ভাবে সুখের চিরায়ত লোকবিশ্বাস
বিশ বছরে পা রাখি প্রতি অন্তে টানি কাঁদা মাটির নিশ্বাস।
শুদ্ধতার নিশ্বাস যদি হয় প্রকৃতির মতো খাঁটি
গোটা পৃথিবীর বুকে এক দেশ বেধেছে সবুজ-সোনালীর ঘাঁটি।