কালনাগিনী বনবাসে সতেরো দিনের সুভাগিনী,
রক্তে আঁকা মানচিত্রে নন্দিনী মুক্ত আকাশের পুনরুদ্ধার খুঁজে।
হরিণীর বুকে আঁচড় দেয়া শেয়ালের দল- হয়তো
এই কৃত্রিম সমাপ্তিতে হাসছে,
হরিণীর বুকের দাগ এক শৈল্পিক সৃষ্টির বিক্ষোভ করে-
যে নন্দিনী মাটির কোলে শুয়ে, মায়ের স্নেহের সুবাস পায়
মিত্তৃকার সুঘ্রাণে নিশ্বাস টুকু তার মায়ের কব্বরে উঁকি দেয়। তাহলে কি এটাই পৃথিবীর দায়িত্ব?
উত্তুরে হাওয়ায় শুকনো পাতা আর মরা শকুণের ডানায় বুকটা ঢেকে গেছে,
ঠিক কতটুকু ভাবনায়—
প্রতিটি নিঃশ্বাস আন্তরীক্ষ মেঘ ছেদ করে অসীমে মিলেয়ে যায়,
পৈশাচিক নিপীড়নে পোড়ামুখী, নিয়তি উদ্ধারের কোন শিষ্টাচার শিখে নি, তাই তো সংসারে অপবাদের বনবাস।
বুকের রক্তবিন্দুগুলো মাটিতে মানচিত্র আঁকে,
আঁখিজোরা অসীমে তাকিয়ে অনিশ্চয়তার প্রহর গুনে,
কয়েক ফোটা অশ্রুর স্বাদে এই ভূতল হাসে
অযাচিত যন্ত্রণায়।
তবু মনে পড়ে, ছোট্ট সংসারে বৈচিত্র্যময় ছদ্মবেশ,
নন্দিনীর বুকের তীক্ষ্ণ ক্ষত আঘাতের সংঘাত শেখায়,
যার প্রতিবাদী স্ফুরণ আজোও মৃত্যুর কোলে ঘুমায়।
মুক্ত আকাশের সূর্যাস্ত, রক্তিম আভায়- নন্দিনীর নিঃশ্বাসের আর প্রতি-উত্তর নেই।
খোলা চোখ দুটোর স্বীকারোক্তি— তারা ঘুমায় নি,
পৃথিবীর রং দেখা হয় নি বলে মৃত্যুর রং দেখেছে-
অসংকুচিত ভয়;এক বনবাসের পুনরুদ্ধার হয়।