"কৃষ্ণ লীলা"
কংসের কারাগারে,
দৈবকি পেলো তোরে,,
কপালের ফের দেখো,,,
রাখিতে নাড়িল ধরে।
বসুদেব নিয়ে তোরে,
রাখিল নন্দের ঘরে,,
সব বাধা গেল তোরে,,,
করিতে এই স্থানান্তরে।
গোকুলেতে বড় হোলি,
কত লীলা করে গেলি,,
অঘাসুর বগাসুর,,,
পেলো তারা মুক্তি,,,,
কালীয় নাগ চরণ পেলো,
পুতনা মাতৃত্ব দিল,,
শত্রু হয়েও ভক্ত হলো,,,
এ কেমন তর ভক্তি।
তুই নাকি খুব দুষ্টু ছিলি,
মা যশোদা বকতো খালি,,
ননি চুরি করে বন্ধু,,,
সেবায় ছিলি মত্ত,,,,
কানমলা কি খাস নি তুই,
কোনোদিন কখনোই,,
মা যশোদা কিছুই বলেনি,,,
বলবি কিন্তু সত্য।
সুদামারে সখা করে,
গুরু ঘরে লীলা করে,,
গুরু মাতার কাছে তারে,,,
চোর বানাইলি,,,,
তোকে না দিয়া খেলো,
তাই সাজা পেয়ে গেল,,
তবুও সেই সুদামারে,,,
কোলে টেনে নিলি।
তুই হলি শেষ তুই শুরু,
তবু লীলায় ধরলি গুরু,,
সন্দীপনী মনির থেকেই,,,
শিক্ষা হল তোর,,,,
তারই পুত্র উদ্ধারিয়া,
গুরু কে দক্ষিণা দিয়া,,
গুরু মাতার মুক্তি পেলো,,,
ব্যথায় ভরা অন্তর।
তোর মামা কংস,
ব্যভিচারী ছিল,,
তোর মার বংশ,,,
তাও বধ হতে হলো।
শকুনীও মামা ছিল,
জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি,,
দুর্যোধনে সে,,,
যোগাযোগ শক্তি।
কূটনীতি ভরে দিলো,
পুরো কুরু বংশে,,
শকুনিই মূল ছিল,,,
এই বিধ্বংসে।
ভীস্মও জড়িত এই মহাজালে,
গান্ধারীর অন্ধ স্বামী,,
তারই শক্তির বলে,,,
মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র,
পুত্র মোহে ধর্মভ্রষ্ট,,
তাই তার সবকিছুই,,,
গেলো রসাতল।
পান্ডুরা তোকে পেলো,
তাই তারা তোরে গেল,,
গান্ধারী কি পেলো,,,
মোহ জালে জড়িয়ে,,,,
পুত্র সে দোষী জেনেও,
রাখেনি কোন শাসনে,,
তাই তার শেষ হলো,,,
নয়নে জল ভরিয়ে।
মোহ বড় মায়াময়,
তাই গুরু দ্রোণ,,
পুত্রের মোহে পড়ে,,,
করিল অধর্মে গমন।
সূর্ভীর অভিমন্যু,
শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ছিল,,
কুন্তী পুত্র পাণ্ডব জ্যৈষ্ঠ,,,
যুদ্ধে এই আখ্যায় দিলো।
মহা পাপী অসৎথমা,
তাইতো সে পেলোনা ক্ষমা,,
উত্তরার গর্ব নাশ,,,
করেছিল সে,,,,
ওম নমঃ গোবিন্দ,
তুই দিলি আনন্দ,,
পুনর্জীবিত করে,,,
পরিক্ষিৎ রে।
এই হল তোর নাতি,
কলিকে দেখালো বাতি,,
কলি এসে ঘষে দিল,,,
পাপে ভরা ঝামা,,,,
তুই হলি মোর ছেলে,
তাই তোরে দেই বলে,,
আবার আসিয়া তুই,,,
এই ঝড় থামা।
রাধারানী পেলো তোরে,
নয়নের জল করে,,
রাখিল অন্তরে ধরে,,,
এ কেমন প্রেমের টান,,,,
বৃন্দাবনের যত গোপী,
তারাও প্রেমের মধুর ঝাঁপি,,
হৃদয় দিয়ে ভালোবাসিল,,,
তোকে করিল সম্মান।
এ জগতে লীলা করে,
সখী বলে দ্রৌপদিরে,,
দুর্যোধনে রক্ষা করে,,,
বস্ত্র দিলি দান,,,,
বিদুর আর পরাশরি,
ভক্তি সেবায় এক অন্তরী,,
কলা ফেলে খোসা দিল,,,
একেই বলে জ্ঞানশূন্য,,,,
ভালোবাসার টান।
তোরে যদি পাই আমি,
ছেড়ে যেতে দেব না,,
তুই বলে দে আমি করি,,,
কোন সাধনা।