গাধার মতো কাঁধ থেকে চন্দ্রবিন্দুটা নামিয়ে চাকায় চেপে চলে আসলাম ভাড়াবাড়ি- যেখানে একটা উজাড় টেবিল, মৃত র্যাক, ছোঁয়াচে খাট ও স্ত্রীর মতো আসবাব শুয়ে থাকে। কোথা থেকে যেনো আসলাম! গস্তানির উঠান, হারামের বারান্দা নাকি গোসলে ফরযের দরোজা থেকে- মনে নেই। কিচ্ছু মনে নেই, গতরে নেই, পোশাকে নেই, আশেপাশে কোথাও নেই- ছিটেফোঁটা। সব আজ দেহো পূজোয় গেছে- ডুবের ভেতর ভেসে ভেসে, উড়ালপথে সেতু বেয়ে, হিসুর কালে শিস, মহাখুশিতে বকশিস আর মুখের ফেনায় ইনসাফ দিয়ে।
.
এতো চেতনা মদের ভেতর! এতো ঘুম! তাড়াহুড়ো করে স্ত্রীর কপাল খুঁজি। চুমু দিতে যাবো সময় দেখি ঠোঁটের উপর চন্দ্রবিন্দু। নামিয়ে রাখি বিছানায়- বালিশের তলে যেখানে সিগারেটের প্যাকেট, গ্যাসলাইট। প্রথম চুমুতে- চেতনা চিত থেকে কাত হয়ে শোয়, তারপর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ... উপর-নিচ-পাশাপাশি। চেতনা, সে আমার অন্তর্গত স্ত্রী। ফলতঃ অন্যায়গুলো আর পাপ পর্যন্ত পৌঁছায় না সকালবেলা।
.
আর তারা তাদের স্বামীদের এমনভাবে বিশ্বাস করে- যেমন করে নিজের চোখ, কান, নাক।– পবিত্র এবৈদাচে ৯/২২ থেকে বর্ণিত একটি চেতনার কুলকুচি।
।।
২২/০৯/২০১৮
আমবাগান, মগবাজার।
"#এক_বৈয়াম_দানাদার_চেতনা" থেকে।