হেম,
এই বাতিগুলো বড্ড চোখ জ্বালায়,
আর আপত্তিকর পরিবেশ তৈরি করে।
আপনি বরং নিভিয়ে আসুন; আলিঙ্গন করি অন্ধকার।
সব শেষ হবার আগে, আরেকবার উল্লাস করি-
শেষবারের মতো; চুম্বনে চুম্বনে মৃত্যু পান করি, একান্তে।

হেম,
আপনি এবার চলে যান-
ধীরে ধীরে আলোতে; অন্ধাকার থেকে আলোতে।
আমি থাকি, একা; হ্যাঁ একাই থাকি।
তারপর জিজ্ঞাসাবাদ হোক,
তল্লাশি হোক; শরীরের যতো গলি উপগলি।
সাথে আমিও; আমাকেও।

হেম,
একবিংশ শতাব্দির শুরুতে তল্লাশির পর-
সবকিছু উলটপালট হবার কথাই ছিল এবং হবেও।
এই আঙ্গুল, এই কলম, চশমা, জলের গ্লাস-
এমনকি স্টেনসিলে আঁকা এই আমাকেও-
আপনার ভীষণ অচেনা মনে হবে।
আর বিব্রত অবস্থায় আপনাকে বিশ্রি লাগে।

হেম,
আপনি এখন বরং চলেই যান।
আমার আলজিভ টেনে নানানভাবে তল্লাশি করুক,
তার নিচে কোনো সত্য লুকিয়ে আছে কি না!
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখুক চোখ, তাতে কী পরিমাণ ঘৃণা।
শার্টের বোতাম খুলে বের করুক বাতাস, শাদা বাতাস।

হেম,
আমি পুরোপুরি অকেজো হলেই না হয় আরেকবার আসুন।
চোখ মেলে তাকান এবং শনাক্ত করুন আমাকে।
নিভে যাওয়া চোখে- মিছিলের মতো বলগ উঠা রক্তের ফেনা;
জলের গ্লাসে ক্লান্ত চুমুক, চশমার কাচে উদাসিন স্বপ্ন
আঙুলের ডগায় বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা, আপনার জন্যে।
আর কলমের শিষে জমাটবদ্ধ এইসব পঙতিমালা দেখে।

হেম,
আপনি বরং এগুলো নিয়েই ফিরে যান; ইতিহাসে-
আমার উদাসীন স্বপ্নের কাছে।
আর ভুলে যান তল্লাশি কী এবং কেন?
আমি ফুলে ফেঁপে উঠার আগে।

।।
১৩/০৬/২০১৮
আমবাগান, মগবাজার