গফ-ফগ’র সূত্র ভালো করে মনে আসে না এখন-
এমন আরো অসংখ্য তত্ত্ব-সঙ্গা-সমীকরণের
বাম ও ডান পাশে জমা পড়ে গেছে কুয়াশার কাই।
সম্ভবত ভুল বশতই দুইপাশে- দুইটি আমি
অতএব বামপক্ষ সামান ডানপক্ষ প্রমাণিত।
আর সঙ্গত কারণেই সঙ্গম ছেড়ে সহবাসে খুঁজি
দ্বৈত কোন অর্থ; কুয়াশা জমে, যেখানে জমার কথা।
অর্থাৎ ফগ'র সূত্রেই হোচট খাই – সারারাত।
দুই থেকে চার- ঘোরের সাথে পাশাপাশি হাঁটে ঘোর।
আর গফ'র গভীরে যে ধাতুর প্রলেপ বা ঘন সিরাপ
তাকে আমরা সহজেই ফেনার সাথে গুলিয়ে ফেলি।
ঘুম, ঘন ঘুমে আচ্ছন্ন চোখ-শরীর; শরীরের পাশাপাশি শরীর,
ধীরেসুস্থে বড় হয়- তামাটে চুল। বিশ্বাস বড় হয়,
বড় হয় নিশ্বাস; ঐচ্ছিক-অনৈচ্ছিক পেশি।
বোকা বৃক্ষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রস দেয়,
রসের উপরিভাগ জুড়ে আয়েশ করে শুয়ে থাকে সর,
আর পিঁপড়ার কামড়ে খুন হয় পঞ্চাশ হাজার মানুষের বাচ্চা,
তত্ত্বগত পরিসংখ্যানে অন্তত একটি বাচ্চার বেঁচে যাওয়ার কথা ছিল।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থেকে বাম হাত মুছে ফেলে সেসব খুনের গন্ধ
এবং গফ-ফগ'র সূত্র ভুলে গেলেও উৎপাদন বন্ধ হয় না।
নতুন করে ভুলে যাবার তাদিগ নিয়ে কুয়াশার মত জড় হতে থাকে
আরও হাজার হাজার সূত্র, তত্ত্ব, সঙ্গা ও সমীকরণ।

০১/০৮/২০১৮
আমবাগান, মগবাজার