শীতের সকাল,স্নিগ্ধ তমাল,রাস্তার ধার জুড়ে।
খড়ের গাদার সাথে রয়েছে সেথা, বসত ঘর কুঁড়ে।।
এলো মেলো মেঠোপথের মাটির সরলতা।
দু'ধারেই আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বনো ঘাস স্বর্নলতা।।
দিগন্ত জোড়া হলুদ গালিচা, সরিষার মহনি রাজ্য!
এ আমার সোনার গ্রাম বাংলা,রূপসী বাংলা বলি ন্যর্য।।
সর্ষেফুল সর্ষেফুল ভালবাসি তোমায় বলে,
মৌমাছিরা উড়ে এসে, যাচ্ছে আবার চলে।।
গুনগুনিয়ে গান শুনিয়ে, সঞ্চয় করে ওরা মধু!
মাচায় কত ঝুলে আছে, স্বাদের লাউ বা কদু।।
খেজুর রসের মধুর হাঁড়ী,নিয়ে যাচ্ছে গাছী।
রসনা বিলাসী বাঙালী মন আমার দেখে,সুখে উঠছে নাচি।।
পক্ষীকূল নিরব কিছুটা, নাস্তা সেরেছে হয় বোধ।
সূর্য আরও খানিক উদিলে হয়তো,শুরু করিবে আমোদ।।
বকেরাও জড়সড় গুটিয়ে লম্বা গলা।
খনে-খনে রত মাছশিকারে ফুটিয়ে বর্শা ফলা।।
কলাপাতার ধার বেয়ে ঝড়ে জল টল-টল ফোঁটা-ফোঁটা!
যেন খনিক আগে বৃষ্টি হয়েছে, কুয়াশার ঘনঘটা!!
শীতে আমার গ্রাম বাংলা, যেন লজ্জাবতি বধূ!
পিঠা ফুলির বাহারে সাজে, আহারে কি মধু!!