রাঙ্গামাটির রং,
পাহাড়ি পানির ঢং,
বসতি বাড়ীর টং,
দাঁড়িয়ে পাহাড়ের সং!
কাঁপিয়ে আকাশ হাঁকে,
পাহাড়ি নদীর বাঁকে,
বনোহাঁস-পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে,
বৃষ্টি ঝুম, এরি এক ফাঁকে!
জেলে নৌকার ভেলা,
লেক এ জাল ফেলা,
আলো আধাঁরির খেলা,
বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি জেলা।।
লংগধুর আকাশ তলা,
ভেসে ভেসে মেঘের ভেলা,
দূরন্তে যায় করে খেলা,
এ যেন এক রংয়ের মেলা!
পাহাড়ী মেয়ের চলন,
পিঠে তার জুম ফলন,
মানুষতো সে তাই একটু কতন,
বোন কই তোমার বাড়ীর উঠোন?
উত্তরে দেখিয়ে হাত,
হয়ে একটু কাঁত,
আমাকে শুধালো, করল চিত-বাত,
কই নাতো যায়নি তো তার জাত।
স্বামী সংসার সামলিয়ে সে,
ফসল নিয়ে বাজারে এসে,
পরিশ্রমি এক কৃষাণী ভেশে,
তারি মত চাই মানুষ দেশে।।
সেগুন বাগিচার তলা,
বাড়িয়ে ধরতেই একটু গলা,
বান্দ'রানী? করছে খেলা,
আরে! খেলাতো নয় যেন বসেছে মেলা।
এত যে সুন্দর রাঙ্গামাটি জেলা,
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা বেলা,
খেয়েছি কিছু পাহাড়ী কলা,
আত্বীয় নেই, তাই হোটেলে চলা।।
বাঘাইছড়ী নয়নাভিরাম,
শুধু রূপেই নয় তার ডাক নাম,
যে দিকে তাকাই ডান-বাম,
ফল কাঁঠাল আর আনারস আম।
নানিয়ারচর আর বরকলে,
মিতালি করিয়া পাহাড় জলে,
অপরূপা ফুল আর ফলে,
বিদায় দেয়, ভালো হও মানুষ, এই বলে।।
পেদাতিংতিং যেয়ে খানা,
স্বাদের কথা বলা মানা,
পুষ্টি গুন ষোল আনা,
অনেকের তা রয়েছে অজানা।
জুরাছড়ি বলি বা রাজস্থলে,
রাঙ্গামাটির পাহাড়ে ও জলে,
সুন্দরের মাঝে যেন দৈত্য চলে,
সাবধান!!!চাপা সুরে সবাই বলে।।
ভয় জাগানিয়া মনে,
জিজ্ঞাসু নয়নে,
রাঙ্গামাটির জনে-জনে,
আতংক কেন প্রতিক্ষনে?
গুচিবে কি দ্বন্দ্ব??
ফিরিবে কি শান্তির ছন্দ???
অস্ত্রের ঝনঝনানি কবে হবে বন্ধ????
সবাই থাকবে শান্তি-সুখে এতো নয় মন্দ।।
পর্যটনের ভান্ডার রূপসি রাঙ্গামাটি!
সম্পদের যোগানদাতা ঘাঁটি!!
সম্প্রীতির বন্ধনে হওক সিক্ত-খাঁটি,
তোমার অপরূপা মায়াবি মাটি।।
রাঙ্গামাটি, সুন্দরী রাঙ্গামাটি!!!