হঠাৎ যেন মেঘ জমেছে এই শহরের কোণে,
অতীত ভেঙে বৃষ্টি হবে সমগ্র নিউরনে।
নির্লিপ্ত কণ্ঠে সেদিন ঠিকই বলেছিলে,
নিঁখুত মানুষ পাবে তুমি বসন্ত রোদ্দুরে।
বসন্ত-শীত সব ভেগেছে, গ্রীষ্মটাও যাওয়ার পথে,
কৃষ্ণ মেঘে আকাশটা আজ খুঁড়ছে কবর পক্ষাঘাতে।
কোথায় তোমার নিঁখুত মানুষ, কোথায় তোমার সুদিন?
শোকবিলাসী এই আকাশে, সবকিছুই পরাধীন।
সেই কবে এক বর্ষাতে এসে ছুঁয়েছিলে এই রুক্ষ জীবন,
ঘুণে ধরা সেই ঝিম হৃদয়ে হিরণ্ময়ী সবুজ শ্রাবণ।
হঠাৎ জমা মেঘের গায়ে ঘুম পেয়েছে কারো,
বিষাদ চোখের নিশান গুলো কাঁদেনি একবারও।
স্বচ্ছ শোকে তোমার চোখের ওই নীলিমার নীলে,
শোক ছিনিয়ে উড়াল দিলো বিষণ্ন গাঙচিলে।
নিঁখুত মানুষ পাবার আশায় বিদায়বাতি জ্বেলে,
নিজের গড়া চুক্তিনামায় নিজেই পড়ে গেলে।
বাদল দিনের মাদল গেছে রাংতা মেখে জলপ্রপাতে,
ভ্রান্ত প্রাণের ভুল স্লোগানে থামলে এখন কার ললাটে?
কোথায় তোমার নিঁখুত মানুষ, কোথায় তোমার সুদিন?
শোকবিলাসী এই আকাশে, সবকিছুই পরাধীন।