চারিদিকে যত নীল নগরী, নব নদী মেঘ, অন্ধ প্রহরী,
হিরণগভীর অতল জলধি যাচ্ছে যেদিকে চলে।
সৃষ্টিগভীরে স্বর্গ নেমেছে, তুমি নেই বলে তারা খসে গেছে,
কমলা ফাগুনে অধোগামী আমি, ঝাউবন কল্লোলে।

ঘর বাড়ি সাঁকো পথ ছিলো যত, উবে গেছে তারা কবিদের মত,
সহসা রোদের হেমন্ত রাতে, পাখিরা আসতো সে রোদ পোহাতে,
এখনো বিস্মৃতি আসে আর যায়, স্ফীত সূর্যের সাথে।
একটি তারার ডাক শুনে তুমি, অসীম কালের স্রোত মরুভূমি
ফেলে এসে ঠিকই খুঁজবে আমায়, নক্ষত্রের রাতে।

দেখেছি গড়াতে অপার সন্ধ্যা, গল্পবিশ্রুতির অলকানন্দা,
নিঃসীম এক মেঘবিষাদে, শ্রাবণস্নানের অষ্টপদে,
রোদ ছলনার সৃষ্টিসুখ আজ মেঘ কল্লোল ফাঁকে।
বাগান বিলাসে তুমি আর আমি, সপ্তমী চাঁদে দেখি মরুভূমি,
অলস জলের কলস মেঘে ছায়াচিহ্ন আঁকে।

যেটুকু রচেছে গোধূলী কাব্য, তোমার চোখে সে তাকাতে বাধ্য,
বৃত্তে জমানো ঝড় ছুটেছে প্রেম নিয়ে দুই হাতে।
বিদায়বেলার জোৎস্নালগ্ন, মৃণ্ময়ী মুখ ফ্যাকাশে নগ্ন,
একশো তারার মিলনমেলায় কে কাকে পেয়েছি সাথে?
অর্থবিহীন সার্থকতায় তলিয়ে গিয়েছি,
সময়ের সেতুপথে।