ভুলে যাও যত অতীত গাঁথা,
দুঃখ-ভুল আর অশ্রুর কথা,
যত ত্রুটি ছিলো ডাস্টবিনে ফেলে,
স্মৃতিভ্রমে নামি জাহাজে বা রেলে।
চলো বৃষ্টির দিনে চোখাচোখি করে,
আবার সূচনা করি,
আবার হাতটা ধরি...

এর আগে কখনো সকালে বা সাঁঝে,
ছিলো না কিছুই আমাদের মাঝে,
ছিলো না বেদনা, হাসি বা ছলনা,
ছিলো না কোনোই মোহ বা যাতনা,
যা কিছু ছিলো সব ধুয়ে মুছে,
কলেজের শেষে চোখে চোখ পুষে,
চলো বাইপাস ধরে রিকশায় চড়ে,
মায়াবী হাসিতে হাতে হাত ধরে,
কী ভেবে কী করি,
আবার সূচনা করি,
আবার হাতটা ধরি...

এর আগে তুমি কোথাও ছিলে না,
মনেতে ছিলে না, মাথায়ও ছিলে না
ঠোঁটের হাসি বা চোখের দেখাতে,
কখনো ছিলে না, কখনো ছিলে না।
ছিলে শুধু গান-কবিতার স্বরে,
পাইনি কখনো এই বাহুডোরে।
চলো মুখোমুখি হয়ে কাটানো সময়ে,
চোখে চোখ রেখে মূকাভিনয়ে,
প্রেমের প্রাসাদ গড়ি,
আবার সূচনা করি,
আবার হাতটা ধরি...

এর আগে হয়নি প্রথম দেখা,
তোমার আমার চোখে চোখ রাখা,
মোহমুক্তির ইন্দ্রজাল আজ,
এখনো যে ফাঁকা, এখনো যে ফাঁকা।
কত সহস্র পরিকল্পে, তোমার আমার অণুগল্পে,
মিলেছি দুজনে রোজরাতে, হয়ে একসাথে রেখে হাত হাতে।
যত অভিমান আর বিষাদ জমা,
তোমার নিভৃত প্রেমের ক্ষমা,
দুজনের প্রেমে ভরি,
চলো আবার সূচনা করি,
আবার হাতটা ধরি...

চিলেকোঠার এই প্রেমবাহনে,
চাঁদনী রাতের অবগাহনে,
ষাট দশকের প্রেমের গানে,
তোমার-আমার দু'প্রাণের টানে,
এই বাহুডোরে নবমিলনে,
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে, বলি কানে কানে,
চলো আবার সূচনা করি,
আবার হাতটা ধরি...

তোমাতে হারিয়ে, তোমাতেই জেগে, তোমাতেই ডুবে মরি,
চলো আবার সূচনা করি,
আবার হাতটা ধরি।