*************আসরের কবিতা ও তার কাব্যিকতাঃ ৩৩***************
                                ***** গদ্য কবিতা *****
কবিতাঃ  অনুভব
কবিঃ গৌরাঙ্গসুন্দর পাত্র
প্রকাশিত তারিখঃ ১৮/১১/২০১৭ (আজ)
***কবি ২ বছর ১১ মাস হল বাংলা-কবিতার আসরে আছেন। কবি আজ পর্যন্ত ৫০০টি কবিতা এই সাইটে লিখেছেন। কবি আসরে নিয়মিত লিখছেন। আজ কবির ৫০০ তম কবিতা প্রকাশ উপলক্ষে।
-----------------------------------------------------------------------------------
কবির লিখিত কবিতাঃ
অনুভব

কৃষ্ণচূড়া এই মনে আজ আর  গাছ  নয়
রক্ত মাংসের  যেন  প্রেমের  শরীরী  প্রতিমা ।
তার ডাল  তার  ফুল সেইসব পাতা
কী করে লুকিয়েছিল যৌবন আমার ?
জানি না এ সখ্যতা কিভাবে যে গড়ে উঠেছিল
এখনো জানি না ।
সেই উদ্ধত গাছটির নিচে
একদিন খল খল করে হেসে উঠতো
প্রেমিকা  আমার ।
তার হাসি তার  মুখ তার  এলোচুল
উসকে দিত বুকের অসুখ
ভরে যেত বুক ।
সূর্যকরোজ্জ্বল সেই ফুলগুলি
কখন যে ছুঁয়ে গেছে যৌবন আমার
এখনো জানি না ।
প্রেমিকা  গিয়েছে চলে কবেকার ভোরে
রয়ে গেছে সেই গাছ প্রেমিকার মতো ।
এখন মনে হয় পৃথিবীতে যেখানে যত কৃষ্ণচূড়া আছে
সকলেই আমার  প্রেমিকা  ।

****** কবির এই কবিতাটি বিরহধর্মী,কাব্যময় ও অর্থবহ। সমস্ত দিক বিচার করে বলা যায় কবিতাটির কাব্যভাবনা যথার্থ। কবিতাটি পাঠকের অনেক ভালোলাগা ও ভালোবাসায় পূর্ণ। কবিতায় যথেষ্ট ভাবনাবোধের ও কাব্যিকতার  প্রকাশ মেলে। কবির এই কবিতাটি গদ্য রূপে লেখা।
-----------------------------------------------------------------------------------
বিষয় নির্বাচন-
খুব ভালো।
-----------------------------------------------------------------------------------
কবিতার বৈশিষ্ট্য-
ক) গদ্য ভিত্তিক কবিতা।
খ) ভাষার স্বাভাবিক বাগভঙ্গি এখানে প্রকাশিত।
গ) মুক্ত চিন্তার আলোকে কবিতাটি লেখা।
ঘ) কবিতা প্রকাশ পদ্ধতি খুব ভালো ও সামঞ্জস্য পূর্ণ।
ঙ) বাক্য- দীর্ঘ ও স্বাধীন।
চ) ছন্দ- ভাব ছন্দ
ছ) বাক্যাংশ- সুসং হত, সুনিয়ন্ত্রিত ও কাব্য গুণ সম্পন্ন।
জ) কবিতার শ্রেণি-  বিরহের কবিতা।
-----------------------------------------------------------------------------------
কবিতার নামকরণ—
কবিতার বিষয়ের সাথে নামকরণ যথার্থ। কবি তার প্রিয়তমার অনুপস্থিতে এই ভাবনা চিত্র অঙ্কন করেছেন।
----------------------------------------------------------------------------------
কবিতার অর্থ-
"কৃষ্ণচূড়া" কবির মনে আজ আর শুধু গাছ  নয়, সে যেন রক্ত মাংসের এক  প্রেমের  শরীরী  প্রতিমা । সে গাছের ডাল, তার ফু্‌ল, সেইসব পাতা তার মাঝে লুকিয়েছিল কবির যৌবন । সেই সখ্যতা কীভাবে  গড়ে উঠেছিল তা কবি এখনও  জানেন না । সেই উদ্ধত গাছটির নীচে কবির প্রেমিকা একদিন খল খল করে হেসে উঠত। তার হাসি তার  মুখ তার  এলোচুল উসকে দিত কবির বুকের অসুখকে, ভরে যেত তার তৃষ্ণার্ত বুক । সূর্যকরোজ্জ্বল সেই ফুলগুলি কখন যেন ছুঁয়ে গেছে কবির যৌবন।তার প্রেমিকা  গিয়েছে চলে কবেকার ভোরে কিন্তু সেই গাছ প্রেমিকার মতো আজ ও রয়ে গেছে। এখন কবির মনে হয় পৃথিবীতে যেখানে যত কৃষ্ণচূড়া আছে সকলেই তার  প্রেমিকা  ।
----------------------------------------------------------------------------------
কবিতা ও ভাব-
একদম ঠিক আছে।
----------------------------------------------------------------------------------
ভাষা প্রয়োগ-
অনেক ভালো ও পরিমিত।
-----------------------------------------------------------------------------------
কবিতার গঠন
অনবদ্য।
-------------------------------------------------------------------------------
ছেদ যতি-
প্রয়োগ ঠিক আছে।
--------------------------------------------------------------------------------
অলঙ্কারঃ
যথার্থ।
-------------------------------------------------------------------------------------
বানান-
কিভাবে > কীভাবে
নিচে > নীচে
বাকি ঠিক আছে।
------------------------------------------------------------------------------
অনুরোধ-
আপনার এ জাতীয় লেখায় আসর আগামীতে আরও সমৃদ্ধ হবে আশা করি।
-----------------------------------------------------------------------------------
******কবি আমার শুভেচ্ছা নেবেন। ভালো থাকুন।