ছন্দ ও কবিতার পাঠ –<পর্ব-৮, ভাগ-৭৩> – কবিতার নানান ধারা
---ড. সুজিতকুমার বিশ্বাস
-------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ – পত্রকাব্য বা লিপিকবিতা
------------------------------------------------------------------------------
আজকের পাঠ উৎসর্গ করা হল - আসরের প্রিয়কবি দীপককুমার সরকার মহাশয়কে।
------------------------------------------------------------------------------
পত্র বা লিপির আকারে লেখা কাব্য-কবিতাই পত্রকাব্য বা লিপিকবিতা নামে পরিচিত। কোনো বন্ধু বা অনুরাগীর উদ্দেশ্যে সহজ কথোপকথনের ভঙ্গীতে নীতি, দর্শন, সাহিত্যভাবনা বিষয়ক কাব্য কবিতা এটি।
এই কাব্য প্রকরণ অনুসারে মধুসূদন দত্ত রচনা করেছিলেন এক সার্থক পত্রকাব্য 'বীরাঙ্গনা কাব্য'।
লিপিকবিতা একটি বিশেষ আকৃতির গীতিকবিতা। কবির মনের কল্পনা পত্রাকারে প্রকাশিত হয় এতে। রোমের কবি হোরেস-কে এই আকৃতির কবিতার উদ্গাতা বলা যায়।
এই ধরণের কাব্যে অবশ্য কাব্যগুণই যথেষ্ট নয়, তার সঙ্গে নাট্যগুণেরও প্রয়োজন হয়। এই ধরনের কবিতা সব ভাষাতেই অল্পবিস্তর আছে।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের 'পুরীর চিঠি', রাধারানি দেবীর 'পরিণীতার পত্র' প্রভৃতি এই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
**সংযোজিত হবে।
***আজ এই পর্যন্ত। তবে চলবে।
------------------------------------------------------------------------------
সূত্র/ ঋণস্বীকার- ১) সাহিত্যের রূপ-রীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ– কুন্তল চট্টোপাধ্যায়
২) সাহিত্য প্রকরণ – হীরেন চট্টোপাধ্যায়।
----------------------------------------------------------------------------
আসরের কবিদের কাছে আমার অনুরোধঃ এই আলোচিত পর্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে নীচে সযত্নে উল্লেখ করবেন। তাছাড়া কোনো গঠনমূলক মতামত থাকলে আন্তরিকভাবে জানাবেন।