কাঁচা লঙ্কা
তুলোশী চক্রবর্তী
-------------------------
কেটে যায় প্রত্যহ প্রাতে
নুন আর ফেন ভাতে।
যদি বাইরে থাকে জরুরি দরকার
ভেঙ্গে পড়া মাটির ঘরটি থেকে বেরোই একবার,
দুপুরেতে ফিরে এসে পাতে পাই কচুর লতা আর শাঁকপাতা
বুঝি বলেই খেঁয়ে উঠি মনভরে ,বলিনা কোনো কথা।
বিকেলটা তো কেটেই যায় গলা ধরায় চুলকানিতে
রাত্রিতে খাবো কি?সবাই ভাবতে বসি একখানেতে।
বেশি দিন রাতের বেলায় আমি খাই না
মুড়ি আর কাঁচালঙ্কা হলে সেদিন আবার খাওয়া ছাড়িও না।
মুড়ি আর খেতে পাই কোইগো?
চেঁচিয়ে মরি মা মা জল দেওগো ,
সেই রাতেতে মুড়ির বাটি আর ছুইনা আমি
তুই বাকিটুকু খেয়ে নে বোন বলে তার গালেতে আলতো চুমি।
তখন আমি ঝাঁল কমাতে জল খেয়েই পেটটা ভরি
একটু বিশ্রাম নিয়ে তার পরেতে শুয়ে পরি।
দেখি মাঝে মাঝে বাবার আঁখি ছলছল করে
কখনো তা থেকে বিন্দু বিন্দু জল পরে,
আর স্থির নাহি রাখতে পারি মোরে
দেখি যখন পিতার নয়ন হতে অশ্রু ঝরে,
হাহাকার করে বুক
আমি তো চাইনি বেশি সুখ,
চাকরির ভাবনায় তখন থাকে আমার ব্যাকুল অন্তর
চাকরি নেই, তাই আবার ভাবি বিয়ে করি সত্বর,
মন আছে বলেই মনের মানুষ চেয়েছিলাম
দুঃখিত,আজো কি কোনো ভাবে পিতার দুঃখ দুর করতে পারলাম?