আমার বিনিদ্র রাত ও কৃষ্ণ
_তুলোশী চক্রবর্তী
শোন হে দর্পহারী ক্রোধ নিবারন ।
দুঃখ গঞ্জনায় চলিছে জীবন ।।
স্থির না হয় আর নয়নের জল ।
জলেভরা আঁখি করে ছলছল ।।
বিনিদ্র রাতে কাটে আঁধারে নয়ন মেলে । মোরে ক্ষিতিতলে ফেলে প্রভু কোথা গেলে।।
মোর মোহ বন্ধন করো গো খন্ডন,হে মঙ্গল মূর্তি রুপ।
হে জগদীশ্বর চক্রপানি,তুমি মম চিত্তের ভূপ।।
চতুর্ভুজ হে দেব নারায়ণ, প্রনাম করি তব শ্রী পায়।
হে দেবকি সুত ,মোরে রেখো শুধু তব কৃপায়।।
হিরন্যকশিপুরে উদরে নাশিলে ,তুমি প্রহ্লাদে করিলে রক্ষা।
বামন রুপে বলিরে ছলিলে ,তুমি হে অর্জুনের প্রিয় সখা ।।
তুমি হে ঠাকুর দয়াল,বসুদেব সুত হে ভক্তগণ প্রাণ।
নমো নমো মহাকাল,তুমি মোরে শুধু স্নেহ করো দান।।
সভামাঝে করিতে লজ্জা নিবারণ ।
দ্রৌপদিলে দিলে বস্ত্র আবরণ।।
তোমারি দ্বারা নিপাতে রাবন সবংশ।
মথুরায় করিলা তুমি কংস ধংস ।।
হে পুরুষ প্রধান , হে নরবর
আমি শরণ লভি হে তোমার ।
তুমি হে পুর্ণশশী-দিবাকর
সহিতে নারি এ গঞ্জনা অপার
মম দেহ মন ক্লান্ত বড় ,শুধু দুঃখ পাই ।
কৃপা করে তব পদে দেহ মোরে ঠাই।।।
সান্তনা চাহিনা আর ,কৃপা করো একবার ।।
হৃদি বন্দরে জাগিছে আশা বুঝো যদি এবার ।।
বলছি মাথা নত করে ধন মান যশ যা দিয়েছো মোরে ,
প্রভু আমি এতে বড় প্রীত এ ভব সংসারে ।।
যদুকূুল মনি হে শ্রীহরি, হে নন্দের নন্দন ।
তব পদে অন্য কিছু বাঞ্ছা নাহি করি, হে পতিত পাবন ।।
শুধু কৃপা করো, হে কৃষ্ণ নিরাশ কোরো না মোরে।
নিরাশে হতাশা গ্রাসে,বড় ব্যাথা লাগে অন্তরে।।