দেখেছো, তোমাকে আটকানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা করিনি।
করে লাভ ই বা কি?
"ভাড়াটে যদি নতুন বাড়ি চয়ন করেই ফেলে;
বাড়িওয়ালার শত অনুনয়-বিনয়ের কোন মর্যাদাই থাকেনা"।
আমি গোলাপ গাছে জল দেয়ায় বিশ্বাসী,
ফুলটাকে দুমড়ে-মুচড়ে তুলে ফেলায় নয়।
কাল তুমি চলে গেলে;
কেবল কি বাড়ি ছেড়ে গিয়েছো!
বারটা বছরে তিল তিল করে জমানো ভালোবাসা
পরিত্যক্ত করে দিয়ে গেছো।
ভালোবাসার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি
একটি তাজা প্রাণ;
যেটা শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছো সেটাও
নিজের সংগে করে নিয়ে গেলে।
শুধু বলে গেলে-
"সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ডির্ভোস নোটিশ পাঠিয়ে দেবে,
আমি যেন সংগে সংগে সই করে দেই।
তারপর মাস, সময়ে সব চুকে যাবে,
ঝামেলা ঝুলিয়ে রেখে বিলম্ব করিতে তুমি চাও না।
কিন্তু তুমি কি জানো,এসব কোর্ট-কাচারির খেলা,
বছর আগে নিষ্পত্তির নিছক সম্ভাবনাও নেই।
সব ভাবিয়া, যোজন-বিয়োজন করিয়া দেখিলুম
ভালোবাসার শেষ চিহ্নটা
পিতৃত্ব পরিচয়হীনতায় জীবন ভর ভুগবে।
কি তার অপরাধ?
বহুক্ষন ভাবিয়া সিদ্বান্তে পৌছুলুম
যদি তুমি বিধবা হও তবে
জলদি নতুন বিয়ে করিতে তোমায়
কাল গুনিতে হবে না, বাধাও থাকিবেনা।
আমার রেখে যাওয়া অল্প কিছুতে
তোমার মালিকানা প্রতিষ্ঠায় আইন বাধা হবেনা।
ভালোবাসার শেষ চিহ্নটা খাটি-শুদ্ধ পরিচয় পাবে।
অনেক ভেবে তাই আত্মহননের এই সিদ্বান্তটা নিলাম।
কবিতাটির কবি হয়ে,
সায়ানাইডের ক্যাপ্সুলটা মুখে দিবো।
ফার্মাসিস্ট বান্ধবীর থেকে এটার জোগাড় পেতে
বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
তুমি ত বলতে আমি ম্যানেজ মাষ্টার,
ধারুন মিথ্যার জালে ফেলে সংগ্রহ করে নিয়েছি।
কিন্তু তোমার ম্যানেজ মাষ্টার
তোমাকেই ম্যানেজ করিতে পারিলো না।
ডাকপোস্টের যা গতি!
চিঠিখানা তোমার হাতে পৌছুবার আগেই
আমার লাশের পরপারের পৌছানো সম্পন্ন হইবে।
আমাদের সন্তান কে, কর্মহীন পিতার
কৃত কর্মের ভার দিওনা কখনো।