মরাগাঙ সুতিয়া, একপাশে নীলকুঠি
নীলকুঠিতে আজ আর নীলের চাষাবাদ হয় না।
হয় একপাল শেয়ালের অবাধ বিচরন
পড়ন্ত বিকেলে না চাইলেও শেয়ালের দেখামেলে ক্ষণেক্ষণে
দক্ষিনের রেলব্রীজে জোড়ায় জোড়ায়
কপোত কপোতির আড্ডা,
কখনও পকৃতি দেখার নাম করে
ব্রিজের পাথর রক্ষা বাধে বসে থাকি
কপোত কপোতির অভিমানি ভালোবাসা দেখি।
আজ আর কেউ নেই,
দুটি শেয়ালের বাদরামিতে মুগ্ধ হই
মরা নদীর বুক মাড়িয়ে পথিকের আনাগোনা বাড়ে
কেবল কপোত কপোতিরা নেই।
আমি তোমাকে ভাবি, ভাবি আর সময় কাটাই
আন্তঃনগর রেলগাড়ির ঝকঝকানিতে ঘোর কাটে
সূর্যমামা তখন পশ্চিমে হেলে পড়েছে।
একদল কিশোরের দুষ্টুমিতে যেনো
মরা গাঙে জোয়ার আসে
আর আমার সেই দূরন্তপনা যেনো অতীতের স্মৃতি
কিশোরদের হোল্লোড়ে ফিরে যাই সোনালী অতীতে
স্পর্শ পাই হারানো দিনগুলোর
ইশারায় আমাকে ডাকে,
হারিয়ে যাই, মনেপড়ে স্কুল পলানো দিনের কথা
আহা মধু, বড়ই মধুময় দিন ছিলো সেদিনগুলো ।
বিদ্যাপিঠের বিদ্যাপাঠ শেষ হয়েছে বহুদিন
কেবল স্মৃতিরা রয়ে গেছে।
কাহারো মৃধু ধাক্বায় ধ্যান ভাঙে,
পশিমের আকাশে তখনো ক্লান্ত সূর্য
আরোও একটু আলোদানের তীব্র প্রায়াসে লিপ্ত।
আমি তোমাকে খুজি, আর খুজে পাই
স্কুল পলানো দলের এক পালোয়ান বাল্যবন্ধুকে।
ঘুরেফিরে সবাই আসে, কেবল তুমিই আসোনা,
তুমি আসবে জানি, ততোদিনে
প্রতিক্ষার প্রহর শেষ হলে।