তুমি নিঃশব্দে হাটো
আমার বুকের পাম পাস টায়,
আমি প্রতিটি নিশ্বাসের সাথে
তোমার নুপুরের শব্দ শুনতে পাই।।
অর্ণবের গর্জন উঠে
আমার প্রতিটি শিরায় উপশিরায়,
হৃদপিন্ডের প্রতিটি পবনে ভেসে আসে
তোমার গায়ের রঙ্গন মাখা গন্ধ,
ও গো বালা
আমার ধরনী তুমাতেই আসক্ত তুমাতেই বন্ধ।।
আমি নাহি চাই ধরীত্রির প্রসিদ্ধি,
নাহি চাই ধরীত্রির শতক বর্ষের জীবন,
এক মুহূর্ত চলুক হৃদপিন্ডের প্লাবন।
যেথা শুধু তুমি তুমার মায়া মাখা দু আখি
যেথা আমারি ছবি আঁকা,
আমি চাই না ও রাত্রি তুমার গগনের শশী,
আমার গগনে সেই চলুক আলোক ছড়ায় রাশি রাশি।
আমি চাই না আন্তিম অনন্ত শুখ,
অসীম দুখে কাতরে বিনাস হব যদি তুমি চাও একটুক।
ও গো বালা
আমি কিনারাহীন সিন্ধুয় আকাতোরে বিলিন হব,
তোমার টানে নিধন হব বিনাশ হব,
অনন্ত কালের সাক্ষী হবো-তোমার মাথার পরে।
ওগো এক পলক দেখ,
এক পলকের লাখো ভাগের এক ভাগ দেখ
আমার ধরণী তোমাতেই আসক্ত
তোমাতেই বন্ধ।।