জিভের নিচে শব্দ বোঝাই পালকি রাখা
তলোয়ারের মরচে হাতল ধুলোই ঢাকা
রাবার ঘষে অতীত মুছেও ঠিক হাঁটা যায়
পাকধরা ওই গোঁফের কোণেও গল্প দাঁড়ায়
চোদ্দ বছর বয়স বাড়া শিরদাঁড়াটা
গাঁটের ফাঁকে অজস্র সব ত্যাগ জমেছে
ওই ছেলেটা মাতাল বাপের খুনের দায়ে
সেই রাত্রে মায়ের জীবন আগলে গেছে
ঠিক চোদ্দ বছর আগের সেই ছোট্ট ছেলে
স্বল্পভাষী,গল্প লেখে, মাধ্যমিকে পাঁচটা লেটার
জুয়ার নেশা, মদ্দক আর চরিত্রহীন জন্মদাতা
মায়ের স্বপ্ন ছোট্ট খোকার বড়ো হয়ে মানুষ হবার
আজ চোদ্দ বছর পর মুক্তি দিবস
খাঁচায় থাকা পাখির ডানা অনভ্যাসে বড্ড অবস
সভ্য সমাজ নুন ছিটালো কাটাঘায়ে স্বভাব দোষে
অপরাধী, বাপের খুনি, এন্টি-সোশ্যাল, কাপুরুষে
শক্ত করে বুকের ভেতর আঁকড়ে নিলো বৃদ্ধা মায়ে
ক্লান্ত গলায় আওয়াজ এলো রবি বেঁচে বীরপুরুষে ৷