শহরে একটা করে গোলযোগ হয়;
একটা করে মৃত্যুর খবর ভেসে আসে;
তোমার বুক একটু একটু করে স্ফীত হয়;
ঠোঁটের কোণে ফোঁটে হাসি।
চোখের তারায় ঝড়ে হাসি।
বুক ফুঁড়ে নিঃশ্বাসে ভেসে আসে
অনেক পুরানো পঁচে যাওয়া কিছু চুমুর গন্ধ।
হরেক রঙ্গের চুমু;
হরেক গন্ধের চুমু-
প্রতিনিয়ত গলাধঃকরণ করে তোমায়।
শহরের এক প্রান্তে কেউ মরে,
কিছু গলে, কেউ বা পঁচে যায়।
তোমার ঠোঁটে স্পষ্ট হতে থাকে একটা
একটা চুমুর ছাপ;
টিস্যু ঘষে সেগুলো ওঠে না,
অনেক অনেক ঠোঁটের ওমেও গলে না;
প্রত্যুষের স্বপ্নের মত সেগুলো গেঁথে থাকে;
নেকাব ভেদ করে জ্বলজ্বলে জ্বলে থাকে।
আমার চুমুগুলো অনেক গভীর;
আমার চুমুর ঘনত্ব অনেক বেশি।
সহসা আলোড়নে সহসাই নিচে চলে যায়;
গভীর থেকে ভেসে ওঠে এক যুগ
আগের কিছু পলকা চুমুর চিহ্ন।
তুমি সেগুলো মুছতে পারো না।
আমি সেগুলো মুছতে ব্যর্থ হই।
আমার চুমুর স্থান তাই অনেক গভীরে,
গুঢ় অন্ধকারে।।
-৩১ জুলাই, ২০১৮
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।