নাইটকুইন
----------


দ্বিপ্রহর এর শেষে নাইট কুইন ফুটবে বলে
এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে সব এসে
ভীড় জমিয়েছে টবের চারপাশে গোল হয়ে।
আমিও গিয়েছিলাম,
একটু তফাতে বসেছিলাম
বেলকুনির এক কোণায়
আলো আধারীতে।

বাহিরে রোড ল্যাম্পের সাথে পাল্লা দিয়ে
জেল্লা ছড়ায় বর্ষায় ভেজা চাঁদ।
শিরশিরে ভারী বাতাসে নেড়ি কুকুরের চিৎকারের সাথে
ক্লান্ত আধোজাগরিত গোল মানুষ গুলো-
গোল চোখ মুখের ঊচ্ছ্বাস মিশে যায়
রাতের রানীর জন্ম লগ্নের হাসি ঠাট্টায়,
একপাশ খোলা রাতের বারান্দায়।

সবার অপেক্ষায়-
আরেকটু আধারে, "একটু শোনেন"
বলে ডেকে নিয়ে নিজেই নাইট কুইন
হবার সাধ জানালে,
দরজার আড়ালে সবার অগোচরে।

এতটা বেকুব আমি, এক পুষ্পের প্রস্ফুটন
দেখতে এসে আরেক কলিকে ফুল হয়ে ফুঁটে উঠতে দিলাম
চোখের সামনে, মধ্য ত্রি প্রহরে।

তারপর,
বাহিরে তুমুল বাতাসের দাপাদাপি।
টুপটুপ বৃষ্টি পড়ছে।
আধারে ভেসে বেড়ায় অস্থির অশুভ কানাকানি।
নাইট কুইন আর ফুটল না সে রাতে।
শুধু আমাকে একববাগান ফুলে
হাবুডুবু খেতে দেখে বিদায় নিল সবাই
সেদিন শেষরাতে।।

২১ জুন, ২০১৬