শেষের পাতার গান
মিছে শৈল্পিক বলিদান ;
সুখ পাখি উড়তে গিয়ে
শুনতে পায় তানপুরার অভিমান ।
নিঝুম দ্বীপ ;উদিত পূর্ব্বাশা প্রদীপ
বিদায়ে ব্যস্ত বীর সৈনিক ,
ফিরবে না বোধ হয় জানে তারা
ঝিকিমিকি করে তাই লক্ষ তারা ,
অনাথ শিশুর ক্রন্দন যেন
পিশাচির উল্লাসিত কাকন কাড়া।
এদেশে মানুষ নেই ; রক্তাক্ত সড়ক নেই
দৃষ্টিতে ক্ষোভ নেই ; মশালে অগ্নি নেই ,
আছে খুন ; আছে খুনি ,
আছে মরনোত্তর পুরুষ্কারের ঝুলি ,
আছে ক্ষুধার্ত জনতার ফ্যাকাসে স্তব্ধ বুলি ,
তাই প্রকাশ্যে মজা লুটে কাপুরুষ ;
ওরা দেশদ্রোহী ।
দিকে দিকে অগ্নিযজ্ঞ
নাম তার নিয়তি ; বলে যারা অভিজ্ঞ ,
সন্ত্রাস জানে শঙ্কা কি রূপ ;
শোনে প্রতিবাদীর হাতে হাতকড়ার বিদ্রুপ ।
ক্লান্ত ব্যাকুল ভয়ভীত নিরব প্রকৃতি
জনতার কাছে করে শান্তির মিনতি ,
সুখ পাখি উড়তে গিয়ে
শোনে সন্তান হারা মায়ের আকুতি ।
অন্তরে যার ধরিত্রি প্রেম;
বাণগঙ্গায় নিমজ্জিত
রক্তাক্ত তারই হেম,
লুটে নেয় সব লুটে নেয়
মনুষ্যত্ব জলাঞ্জলি দেয় ,
ফিরে চায় না আর কেহ
ভেসে থাকে অভাগা ঐ শবদেহ ।
প্রতিবাদী কন্ঠ আওয়াজ তোলে
পরদিনই কন্ঠে জং ধরে ,
বিপ্লবী নারী মিছিল করে
ধর্ষিত হয়ে মৃত্যু মুখে মৌনতা গড়ে।
সবই নাকি কাকতালীয় ,
বলে সব পিশাচ দলীয় ,
সত্য জানে কোন সে রাতে
গুম হয়ে যায় মুক্তিকামী নির্দলীয় ।
কালি কলম প্রশ্ন তোলে
জনজীবন আজ কেন রসাতলে ?
প্রতিবাদের মশাল জ্বলে ,
দিকে দিকে ভয়ার্ত দামামা বাজে
দেশনেতা ক্রন্দন করে
ভিনদেশীর চোখে ঘৃণা সাজে
একে দেশের উন্নতি নয় ; লজ্জা বলে ।
সুখ পাখি শান্তিকামী
বীর দর্পে আতিথেয়তার বার্তা বয়ে
যাচ্ছিল মসনদে ,
হঠাৎ কি জানি কি হলো !
সে ভূমিতে আশ্রয় পেলো ,
কে ছুড়ল বাণ ; কেই বা ছিল দায়ী !
শকুনের তদন্তে জানা যায় ; খুন নয় ,
সুখ পাখির ডানার জোড় কমেছিল নাকি ।
চলবে এভাবেই রাষ্ট্র শাসন ,
এ তো জালেমের ছক কষা সন ,
সাথে সাথেই ভুলে যাবে
কি ছিল সত্য শাসন ,
যখন সুখ পাখির যাত্রার হবে অন্তিমক্ষণ ।
বিঃদ্র - বর্তমান পরিস্থিতি সবারই জানা ।
এভাবেই শান্তিপ্রিয় ,নির্দলীয় ,প্রতিবাদী দেশপ্রেমিক সুখ পাখিরা খুন হয় । গুম হয় । অপরাধীদের ঘুষ খাওয়া শকুনরূপ আইন ব্যবস্থা খুনকে নিছক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয় ।যেখানে সরকারের কোন দোষ নেই । দোষ কেবল কিছু খারাপ মানুষের। তবুও প্রতিবাদ থামে না । কলমের কালি জমে না । সুখ পাখির যাত্রা শেষ হবে না ।বারে বারে ওরা আসবে, ফিরে আসবে, ফিরে আসবেই । শুধু অপেক্ষা …..