লোকে বলে শান্ত থাকো
বিনয়ী থাকো সদা ,
অন্যায় হচ্ছে হোক না ,
তাতে তোমার কেনো মাথা ব্যথা ।
রাত যায় দিন যায়
স্বর্ণচোর পালায় ,
মণি মুক্তার লোভে বিক্রিত কণ্যা
শৈশব স্মৃতি হারায় ।
আন্দোলন মিছিলে উত্তাল সড়ক ,
ধন্য নর-নারী ,
খাদ্যাভাবে মৃত গরীবের
থাকে না বিচারকারী ।
চাকরি নেই তবু শিক্ষা আছে ;
আছে পদবীর বেশ দাম,
দিন শেষে শেঁকড় খুঁজলে লোকে কয়
তোমার মামার কি নাম ?
ডিগ্রি বাড়ে ; ডলার বাড়ে
পায় না হাতে খাম ,
নিঁখোজ হলে লোকের ভীরে
মিথ্যে হয় আন্দোলনকারীর নাম।
শাসন শোষণ নেত্রী নয়
করে দুর্নীতির ভক্তরা ,
শক্ত হাতে মশাল নিলে
জীবন ছন্নছাড়া।
এ কোন সভ্য জাতির রক্ত ?
শিরায় শিরায় যার
সত্য দমনের স্বপ্ন ?
সভ্য বলেই হয়ত নারী শরীর দেখায়
সভ্য বলেই পুরুষ প্রেম নয় শোষণ বাড়ায়,
সভ্য বলেই ধর্মের নামে বিভেদ ছড়ায়
প্রতিশোধের অগ্নিশিখা দাবানল জ্বালায় ।
আধুকতায় নগ্নতা বাড়ে,
ছাত্রসমাজ যৌনতার রাজ্য চিনে ,
চিনে না সম্মান কাকে বলে ।
তারা জানে আন্দোলন বীরের ধর্ম ,
জানে না উচিত ব্যবহারের মর্ম ।
তারা মানে সত্য কাকে বলে ,
তবু নেশাগ্রস্থ শরীরে
প্রতিবাদী করে না শব্দ ।
আইন ঘুষখোর
সত্যান্বেষী কারাগারের লোক ,
খবর ছাপে ইউরোপে রোদ খুব ,
ন্যায়ের কথা ছাপতে গেলে
গুটিশুটি সব চুপ ।
এ সভ্য জাতির উন্নতিরই রূপ
যেথায় নবজাতকও পরিচয়হীন
নির্মমতার রূপ ।
কতদিন পার হলে আর
চোখ খুলবে জাতি ?
সত্যের পথের কাঁটা উপড়ে
চলবে মানবজাতি ?
অসভ্য আমি ; তাই বিনয় না জানি ,
তথাকথিত সভ্য হয়ে
দ্বার রুদ্ধ করতে পারি না আমি ।
শাস্তি হয় হোক ;মরতে হবে হোক ,
ছোট মুখে বড় কথা !
মানছি আমি বেয়াদব,
তবু বিধাতার দ্বারে থাকি যেনো
সত্যের গোলামী লোক ।