বিষাদ সিন্ধু হেরিয়া দেখি
তুমি অন্ধ এক নারী ,
খেলিয়া যাও ; মনে দুরাশা ছাও ,
তুমিহীনা কথাবিনা সুর সাধে না ,
গীতি তাল ধরে না;
হাসিতে মুক্ত ; ঝরে না তো পুষ্প ,
বিরহ দ্বারে ডাকে ; তোমারে কাছে টানে
জানি ; বুঝিবে না তুমি ,
তুমি যে অন্ধ নারী ।
মেঘো সাজে ; কন্ঠ রুধে
মায়ার বেদন বক্ষ পূজে ,
জাহুবী সে ; স্থিতধী যে
হস্ত কাঁপে রুদ্ধ শ্বাসে ,
ভবে যদি ; হঠাৎ ছোঁয়া লাগে !
অশ্রুপুরে বিরহ সুরে
উপমারা দেয় ফাঁকি ,
তাই ক্লান্ত মনে আজ গোপনে
হোক প্রেমোসমাধি ।
দূরদেশে মেঘভীরে যদি
জোচ্ছনা দেখো একা ,
পাবে ঐ ভীরেতেই
এ প্রমিক পুরুষ ঘুমন্ত সারাবেলা ।
পাবে মুক্তি ভুক্তি
সকল তৃপ্তি ; সাঙ্গ হবে যবে খেলা ।
বহুকাল পর হঠাৎ দেখিবামাত্র
বলিবে কি তুমি কথা ?
যদি তাই হয় ,
তবে আজ থাক ;
পরকালে তোমার অপেক্ষায়
না হয় রইব আমি একা ।