শত শত পক্ষীরাজ দল
ছুটছিল ঐ দূরের মেরুন আকাশে ,
আমি নীলিমার মাঝে
শান্ত মনে ছিলেম ঘুমিয়ে তরী পাশে।
তুমি পূর্ব দিগন্ত হতে
এদিক পানে দৃষ্টি দিলে ,
নির্মল কন্ঠে পিছু ডাকলে বোধ হয় !
হঠাৎ খরস্রোতা হলো মন ;
মনে হলো তুমি নিঝুম দ্বীপের কেউ
তবে উত্তরীয় বসনে কি কারণে
গোধূলী কালে গুণছিলে বিন্দু ঢেউ ?

সময়টা বোধ করি শীতকাল
অধিকন্তু মধ্যসাগরে দিকভ্রষ্ট আমি ,
চন্দ্র তার আলো ছড়াতে
করছিল কয়েক মূহুর্ত দেরী ,
“কে তুমি প্রহরী ?”
“আমি উদাস বনের প্রাঞ্জল দিশারী ,
তুমি মায়াবী সাগরে একলা কিরূপে রমণী ?”
স্নিগ্ধ তার বদন ; মলিন হলো ভুবন
আবদ্ধ হলাম কোন এক সমন্ধে ।
এরূপেই প্রথম সাক্ষাত ছিল মোদের ,
আমি আজও একই স্থানে দাঁড়িয়ে ,
মধ্যসাগরে গগণচুম্বী কোন প্রত্যাশায় ,
শুধু নেই সেই সময়
নেই হঠাৎ দেখা পুরনো বিস্ময় ।

দূরে দেখা যায় ছোট্ট কোন প্রদেশ
হয়ত সেই স্থানেরই ছিল সে !
পৌঁছাতে চায় মন ,
রটিবে তবে হাজার গুঞ্জণ ।
তাই ভ্রান্ত ইচ্ছা দূর পাশরী ,
প্রতিক্ষাই হোক মম কাল সমাধী ।
এই মধ্যসাগরেই হোক মোর বাস
আজীবন তব অপেক্ষার হোক ত্রাস ,
তবু আমি জানি ;
তুমি আসবে ; নিশ্চই রণে ভঙ্গ দিবে
কার্তিকের শেষে মাঘের প্রারম্ভে
প্রচন্ড কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে তুমি আসবে ,
তুমি নিশ্চই আসবে ॥