চন্দ্র যখন আকাশ ভেদে
জোৎস্না আলো আপনি ছোটে ,
ঘরের শিশু ক্রন্দন করে ;
ডাহুক নিজ পথ ভুলে ।
যামিনী যাপনে কষ্ট প্রতিক্ষণ
সাথে নিদ্রাহীন প্রহর,
রাত্রি কাটে দোষারোপ করে ,
তবুও জানেনা কেউ কার যে কি দোষ ।
ভিক্ষুক বাড়ে ; ভিক্ষা কমে
দিনদুপুরে অনাহারে প্রাণ ঝরে ,
দেশের মানুষ উন্নতি দেখে ,
দেখেনা তোষামোদ কারা করে ।
শিক্ষার নামে হিংসা চলে ,
শিশুরা নাকি এভাবেই
মানুষের মতো মানুষ হবে ,
তাই বুঝি আজ গুরুর চোখে অশ্রু আসে
আর ছাত্রের হাতে লাঠি উঠে !
মাতা-পিতা চিৎকার করে
আত্মহত্যার সংখ্যা বারে ,
এভাবেই কি তবে বাঙালি জাতি
বিশ্বমঞ্চ কাঁপাবে !
বৃদ্ধ মানুষ ভাত খুঁজে ,
শিয়াল-কুকুর লাশ পূজে ,
খুনির রাজা প্রাণগোপাল সাজে,
কেউ জানে না কোথায়
বিষাক্ত পঙ্গোপাল বাসা বাঁধে ।
মধ্যবিত্ত অহংকার করে
উচ্চবিত্ত স্বর্ণে সাজে ,
নিম্নশ্রেনির ঘর থাকে না ,
অসহায় দুহাত কেবল বিধাতারে ডাকে ।
সামান্য বিষয়ে টক শো চলে
ওদিকে বৃদ্ধা নারীরও সম্মান লুটে ,
জনজীবন ট্রোলের নামে
আধুকতার প্রসার টানে ।
মৃত্যুদ্বারে রোগীর পাশে
চিকিৎসক নৃত্য করে ,
ফর্ম পূরণের কার্য শেষে
ক্লান্ত আত্মা দেহ ছাড়ে ।
ওদিকে বাঁচাতে পারলে মহান বিধাতা
ধন্য ধন্য বিভুর নাম ,
মরলে পরে চিকিৎসকের দোষ
হাজার অপমানের খাম ।
সবাই দেখে ; নিশ্চুপ থাকে
স্বার্থের কথা ভাবে ,
তবুও চক্ষুঠুলি খুলে না কেউ
সত্যকে ধরে না প্রাণে ।
বিদ্যুৎ গেলে হা-হুতাশ করে
তবুও চাঁদের আলতো আছে ,
গোটা জাতির জীবনের অন্ধকারের ভীরে
কেউ কি আলো জ্বালাবে ?
নাকি অন্ধের মতো আজন্মকাল
লোডশেডিং এই জীবন কাটাবে ?