অদ্ভুত এক পৃথিবী !
যেখান লড়াই চলে যোগ্যতার ,
প্রতিটি প্রহর গুণে সহ্যশক্তির হার ।
পিপাসু জল খোঁজে ,যোদ্ধা অশ্ব পুষে ,
সূর্যাস্তে শান্তির ধ্বজা তোলে ঠিকিই ,
ক্ষণিক পরেই বিশ্বজয়ের লোভে হত্যা করে ;
তবু জগৎ তাকেই রাজা বলে ।
স্বভাব দোষে মধুর খোঁজে যে পথিক
তাঁকেও দংশন করে মৌমাছি ।
কার যে মূল দোষ ; তা বোঝা বড় দায় !
হয়ত স্বভাবের রোষ!
ধীরে ধীরে প্রদীপও নিভে যায় ,
এ তো নিয়তি ,
তাইতো আকাশপানে থুথু নিক্ষেপকারীকে
আকাশও দন্ড দেয় !
তবে কে তুমি মায়াবী ?
ছলে বলে মনে
ব্যাকুলতার শব্দ শোনাও ।
নিরবে উদিত সূর্যকে তো কেউ প্রশ্ন করে না !
বায়ুর দ্রুতিকে তো কেউ রুখে না !
পাহাড়ের সামর্থের তো পরীক্ষা হয় না ,
নদীর দূর্বলতার তো প্রহসন শুনি না !
তবে কে তুমি ?
নিয়তি , ইচ্ছা , আকাঙ্খা , স্পৃহা , ক্রোধ ,
প্রতিস্পর্ধা , অহংকার , অভিমান
নাকি প্রতিহিংসা ?
কে তুমি মায়াবী ?
কালরাত্রির অন্ধকারে চারিদিকে যখন প্রলয়
ফিসফিসিয়ে কেউ যেন বলে ওঠে
“আমি নিষ্পাপ সময়।”