দুর্বোধ্য এই অনুভূতি,
সহিষ্ণুতার খোলসে নাকি
বাঁচতে শিখতে হয় ;
এ তো প্রাচীন পৃথ্বী প্রথা ।
তবুও কেউ কেউ ঠিকই পারে ;
হেমিলিওনের বাঁশিওয়ালা হতে !
ক্ষোভে স্ফুলিঙ্গ হয়ে ফেটে পরতে আর ;সবকিছু ছাপিয়ে
প্রলয়ের ন্যায় কলঙ্কিত হতে ।
তাদের মতন বাধাহীন হতে
কারোর ভীষণ ইচ্ছে করে ,
কিন্তু তারা ভাবে; সব ইচ্ছে কি বলতে আছে ?
ঐ যে ,পাছে লোকে কিছু বলে ! নচেৎ ;
“সব পেলে নষ্ট জীবন “ ।
নিজের রক্তকে নিয়ে বেশ গর্ব
কিছু নিম্ন মানসিকতার মানুষের ,
ক্ষতি অবশ্য নেই কিছু তাতে ,
তবে অন্যের শিরদাঁড়া যদি হতে নাই পার ;
অন্তত ভেঙে দিও না ,
কত টন রক্তক্ষরণ হয় ভেতরে
তুমি তা বোঝার ক্ষমতাই রাখ না ।
মেনে নিলাম তুমি সব পার
আর আমি মুর্খ , কারোর কুলাঙ্গার সন্তান ;
মন বলে কিছু একটা যদিও তোমার নেই
তবুও বলি ,
শঙ্খচিল অবয়বেই সুন্দর
ব্যক্তিত্বে চিল চিলই থাকে ।
পরিবেশ -পরিস্থিতি ,অভিপ্রায়-অভিরুচি ,
সব যে মিলবে , তার কি আছে প্রয়োজন?
পরিবার-প্রিয়জন সকলই যখন
অন্তর থেকে হয় বিয়োজন !
পরিণত হয় ঘৃণ্য কোন আবেগের পাতায় ,
আর নিজেকে পরিবর্তন করতে হয়
বেহায়ার পরিভাষায় ।
সত্যিই দুবোধ্য , তাই না ?
ভুল করে হলেও ভোলা যায় না ,
শুনতে না চাইলেও প্রাচীর তোলা যায় না ।
বলতে চাইলেও বলা যায় না ,
আবার নিরব হতে চাইলেও
নির্বাক হওয়া যায় না ।
প্রচন্ড অন্তর্দহণেও মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে
দুর্বোধ্য হৃদস্পন্দনকে চিরস্তব্ধ করা যায় না ।