জন্মের পর ছিল আনন্দ
ছিল ঐশ্বর্য, ছিল পরিবার
ছিল খেলার সঙ্গী ,
কিন্তু কি এমন হলো যে
মাঝপথেই হাত ছেড়ে দিল ওদের পরিবার ?

চুরি করলে কারাগারে যায়
হত্যা করলে ফাঁসি হয় ,
কিন্তু তাও তো মাত্র একবার তার ব্যাথা অনুভূব হয়  ,
আর জন্ম নিলে বুঝি সমাজের সামনে প্রতিদিনই ফাঁসি কার্যকর হয়?

স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের হলেও
ওদের জন্য বোধহয় শব্দটি নয়,
শব্দ-বর্ণে সবার অধিকার থাকলেও
ভালোবাসা শব্দটা বোধহয় ওদের অনুভূতই নয় ।

হোটেল-রিসোর্ট-ব্যবসা-বাণিজ্য-চাকরি
কোথাও নেই ওদের স্থান ,
তাই তো দাঁড়ায় ওরা রাস্তায়
অমানুষের সমাজ থেকে যদি পায় কিছু দান ।

সমাজ ওদের দায় নেইনি
সাধারণ মানুষ পাশে দাঁড়ায় নি ,
"আর এতে তো দোষের কিছু নেই
যেখানে বাবা-মাই পাশে নেই ,সেখানে সমাজতো কোন ছাড় !"এইভেবেই হয়ত ওরা স্বান্তনা পায়,
না জানি ওদের কত স্বপ্ন
এভাবেই কবরে গিয়ে পৌঁছায় ।

ওরাতো আসতে চাইনি পৃথিবীতে
ওদের কেউ এনেছে নিজেরা সন্তানসুখ পাবে বলে,
তবে আজ কেন অপরাধীর ন্যায়
ওরা চোখের জলকে বারবার মুছে ফেলে।
যারা ওদের জন্ম দিয়েছিল
তারা কি সত্যি সন্তান চেয়েছিল ?
নাকি
নিজের ধন-সম্পদ রক্ষা করার জন্য
কোন কোষাগারের খোঁজ করেছিল?
আর যখন কোষাগারে একটু জং ধরল ,
তখন ছুঁড়ে ফেলে দিল !

কথাতো আছে ওদের অনেক
কখনো বলার ইচ্ছা জাগে ,
বলতে গেলে আবার সমাজের ভাবনা আসে
তাইতো বোধহয় ওরা রাতের পর রাত জাগে ।

হয়ত ভাবে ,
"সবাই ব্যস্ত সময় পার করে
বাতেলা শোনায় কার ইচ্ছে করে,"
সময় যত যায়
ওদের কথাগুলোও মনে ভীর করে ।

হাজার অবহেলায় কষ্ট পেয়ে,
শত প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে,
একটা সময় আসে
যখন অনেক কথা স্পষ্টভাবে আর প্রকাশ করে না ,
তবে কি ওরা কথা বলতে পারে না ??
নাকি ওদের অনুভূতি জাগে না ?
নাকি ওদের চোখ শুকিয়ে গেছে?
এর উত্তরও কেউ জানে না ।

সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ
সবার দৃষ্টিগোচরীভূত  হয় ,
সবকিছু তো সবাই টাকার বিনিময়েই কিনে নেয়
ওহে সুশীল-শিক্ষিত সমাজ
ওদের ব্যাথার দামটাও
কত টাকা দিয়ে কেনা হয়?